জলপাইগুড়ি: প্রেম কি কখনও ভৌগলিক দূরত্বের জায়গা থাকে? থাকে না। তাই তো প্রেমের টানে মানুষ সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে চলে যায় ভালোবাসার মানুষের কাছে। সেখানে একটা কাঁটাতার পার হওয়া যাবে না? তা বলে অনুপ্রবেশ! ভালোবাসার মানুষকে একবার মাত্র দেখেছিলেন। আর পারছিলেন না থাকতে। তাই তো কাঁটাতার পেরিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। আর তাতেই ঘটে গেল বিপত্তি। বিএসএফের হাতে ধরা পড়লেন প্রেমিক। আপাতত স্থান শ্রীঘরে।
প্রায় পাঁচ বছর আগের ঘটনা। সীমান্তের এক মিলন মেলাতে প্রেম হয়েছিল তাঁদের দুজনের। তারপর থেকে ভরসা সোশ্যাল মিডিয়া আর ফোন। এভাবে যেন আর থাকতে পারা যাচ্ছিল না। জলপাইগুড়ির মানিকগঞ্জের সীমান্ত পেরিয়ে এক বাংলাদেশী যুবক ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা মানা চন্দ্র রায়। বিএসএফের জওয়ানরা তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর কাছ থেকে বাংলাদেশের টাকা ও মালয়েশিয়ার অর্থ পাওয়া গিয়েছে। বুধবার তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মনা রায় জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে মিলন মেলাতে ভারতের এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিন্তু তারপর থেকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হয়নি। এর মাঝেই একটা চাকরি পেয়ে মালয়েশিয়া যান। সেখানে কয়েক বছর ছিলেন। এই পাঁচ বছরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের ভরসা সোশ্যাল মিডিয়া আর ফোনে কথা। সম্প্রতি মনা ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। আর তখনই প্রেমিকা বার বার দেখা করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। মনা জানিয়েছেন, তিনি জানতেন, এভাবে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে যাওয়া অপরাধ। কিন্তু তিনি শুধু তাঁর প্রেয়শীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ভালোবাসার টান থেকেই তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন।