কলকাতা: বিজেপি ছেড়ে আচমকা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর অনেক মাস কেটে গিয়েছে। এখন তৃণমূলেরই বিধায়ক হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। নতুন দলে আসার পর কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। তবে তাঁর ওপর ভরসা রেখেই উপনির্বাচনের টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। অবশেষে সেই ভরসা রাখতে পারেন বাবুল। বিধায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু শপথ গ্রহণ নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও অনেক টালবাহানার পর বাবুলের শপথ গ্রহণ হয়। আজ প্রথমবারের মতো বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।
আরও পড়ুন- UPSC পাশ করাই এখন লক্ষ্য উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম সমাদৃতার
এদিন বিধানসভা আসতেই তাঁকে নিয়ে কার্যত হইচই শুরু হয়ে যায়। তারকা বিধায়ককে পেয়ে অনেকের ছবি তুলতে আসেন। শুরু হয়ে যায় সেলফি তোলার হিড়িক। পরে একে একে সব বিধায়করা এসে কথা বলে যান বাবুলের সঙ্গে। তারাও ছবি তোলেন। এদিন আবার বিধানসভা কক্ষে অন্য এক তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিতের পাশে বসেন বাবুল। সব মিলিয়ে তাঁর বিধানসভার প্রথম দিন ছিল উত্তেজনায় ভরা। তবে এদিনও একাধিক ইস্যুতে বিজেপি বিঁধতে ছাড়েননি বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলে তাদের হার, এজেন্সিকে প্রভাবিত করার মতো অভিযোগ, সবই ছিল বাবুলের গলায়।
বাবুল জানান, আসানসোলের মানুষ বুঝে গিয়েছে বিজেপি কী। তাই সেখানে তারা ভোট পায়নি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জেতা শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে তিনি জমিয়ে কাজ করতে পারবেন বলেই জানান। তাঁর বক্তব্য, তাদের দুজনের পরিচয় অনেক দিনের। তাই কোনও রকম সমস্যা হবে না। পাশাপাশি বাবুল বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, তারা বরাবর কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে প্রভাবিত করে আসছে। কাশীপুরের ঘটনাতেও তার আঁচ মেলেছে। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।