কলকাতা: দ্বন্দ্ব এখন আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিজেপির মধ্যে যে আদি এবং নব্য সংঘাত লেগেছে তা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। খোদ বাংলার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন। তারপর তো আর রাখঢাকের কিছুই থাকে না। এবার জেলায় জেলায় বাড়তে শুরু করেছে বিজেপির বিক্ষোভ। বিজেপির সদর দফতরের সামনে জমতে শুরু করেছে দলীয় কর্মীদের ভিড়। তাদের দাবি, যোগ্যরা দলে গুরুত্ব পাচ্ছে না। তাদের জায়গায় অযোগ্যরা পদ পেয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কোর্টের সামনে আইনজীবীদের বিক্ষোভ, ঘেরাও
বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর থেকে বাংলায় বিজেপির অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে। এমন একটিও নির্বাচন নেই যেটাতে তারা পরাজিত হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির ভোটের হারও অনেকটা নেমে গিয়েছে। এই সব তথ্য তুলেই বিক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরে। আদি বিজেপি যারা আছেন তাদের বক্তব্য, অযোগ্য রাজ্য নেতৃত্বের জন্য এই পরিস্থিতি। তারা কেউ দলের কাজ ঠিক ভাবে করতে পারছেন না। এই কারণেই দল ডুবছে। এমনকি তাদের ক্ষোভ রাজ্য সভাপতিকে নিয়েও। তারা বলছেন, তিনিও কাজ করতে পারছেন না। পরবর্তী সময়ে আরও বড় বিক্ষোভের ভাবনা রয়েছে বলে তারা হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের নিশানায় যে নব্য-বিজেপি নেতারা রয়েছে তা ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
এদিকে আবার বিজেপির দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তথাগত রায়ের মধ্যেও বাদানুবাদ তুঙ্গে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে দিলীপ ছাড়াও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আক্রমণ করতে শুরু করেন তথাগত। টুইটারে নানা মন্তব্য করেন। সম্প্রতিও একই সুরে তাদের কটাক্ষ করেছেন তথাগত। তার পাল্টা এসেছে দিলীপ ঘোষের তরফ থেকে। তথাগত তাঁকে ‘ফিটার মিস্ত্রি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। আবার দিলীপের আক্রমণ, বয়সের দোষ। ৭২ হয়ে গেলে মাথা কাজ করে না! সব মিলিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহল ঘেঁটে ঘ।