কলকাতা: সোমবার অধিবেশনের শুরুর দিন তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা৷ যার জেরে ভাষণই দিতে পারেননি রাজ্যপাল৷ বারবার তিনি কক্ষ ছাড়ার জন্য উদ্যত হন৷ বিধানসভায় সেই বিক্ষোভ দেখানোর জেরে চলতি বিধানসভা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামীকে৷ রাজ্যপালের ভাষণে বাধা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও বিধানসভার কাজ বিঘ্নিত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আজ আরও উত্তাল হল বিধানসভা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দিতে উঠলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বিরাট বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- পার্টি এখন গাড্ডায় পড়েছে, অকপট স্বীকারোক্তি দিলীপ ঘোষের
এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুই বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানান। তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয় এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ চলাকালীন বিজেপি বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। নিজের ওয়ার্ডেও জিততে পারে না বিজেপি। তিনি আরও বলেন, বিজেপির এই আচরণ লজ্জাজনক, দুঃখজনক। যদিও বিজেপির বিক্ষোভের মধ্যে নিজের ভাষণ চালিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ইস্যুতে আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, এইভাবে বিজেপি উন্নয়ন আটকাতে পারবে না। যা উন্নয়ন করার তাই করা হবে। সব শেষে বিধানসভা অধিবেশন ওয়াকআউট করে বিজেপি।
পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার শুরু থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যার জেরে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরেও ভাষণ শুরু করতে পারেননি রাজ্যপাল। এমনকী রাজ্যপাল বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন। সেই সময় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা তাঁকে ঘিরে রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে অন্তত দু’লাইন ভাষণ পাঠের অনুরোধ জানান। প্রথম ও শেষ লাইন পাঠ করে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷