কলকাতা: গতকাল এবং আজ মিলিয়ে ইতিমধ্যেই তিন পুরসভা ভোটের আগেই দখল করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বজবজ, সাইথিয়া এবং দিনহাটা জিতেছে তারা। একটি কেন্দ্রেও বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি বলে দাবি করেছে শাসক দল। একই কথা বলে বিরোধীদের বক্তব্য, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস করা হচ্ছে, মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি। এই দাবি তুলেই ভোট বাতিলের আওয়াজ তুলছে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরা। আগেই জানা গিয়েছিল, এই ইস্যুতে আদালতের দারস্থ হবে বিজেপি। এদিন তার আগে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় তারা। ভোট বাতিলের দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- লাল ঝাণ্ডা ছাড়াই রেল লাইনে কাজ! ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা আপ বর্ধমান লোকালের
মনোনয়ন জমা দিতে বাধা এবং পুরভোটের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে কমিশন ঘেরাওয়ের ডাক দেয় বিজেপি। একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য ছিল, প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, তাদের শাসক দলের লোক হুমকি দিচ্ছে। এইসব অভিযোগ তুলেই আজ কমিশনের দফতরের সামনে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তখনই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এখনও পর্যন্ত ৪০-৪৫ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। বিধাননগরে আধা সামরিক বাহিনী দিতে হবে। একই সঙ্গে বজবজ, দিনহাটা, সাইথিয়া এবং বোলপুরের ভোট বাতিল করতে হবে বলে আওয়াজ তুলেছেন তিনি।
এর আগেও রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, ভোট তো দূরের কথা, ওরা হেরে যাওয়ার ভয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেইনি। বাংলায় যে গণতন্ত্র নেই তা আগেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। বস্তুত, ভোটের আগেই তিন পুরসভা দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থীদের কোথাও ঘরবন্দী করে কোথাও বা ধমক দেখিয়ে মনোনয়নই জমা দিতে দেওয়া হয়নি৷ যার ফলে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে চলা রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচনের আগেই একাধিক ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ এরই প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে ভোট বাতিল করে পুন:নির্বাচনের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির৷