বাঁকুড়া: তিনি চাষার ব্যাটা, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ‘অনুপ্রাণিত’ ‘অনুপ্রাণিত’ হয়ে জমিতে চাষ করলেন বিজেপি বিধায়ক৷ সম্প্রতি বর্ধমান সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিধায়কদের জমিতে ‘চাষ করা’র কথাও বলেছিলেন বলে তাঁর দাবি। আর তাই তিনি একজন বিধায়ক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে মান্যতা দিয়ে চাষের কাজে নেমেছেন বলে বিজেপি বিধায়ক জানান। বললেন, লাঙল চালানো, বীজতলা তোলা, রোপণ সব কাজেতেই তিনি সমান পারদর্শী৷
শুক্রবার বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন ধলডাঙ্গা এলাকার চাষের জমিতে লুঙ্গি আর স্যাণ্ডো গ্যাঞ্জি পরে মাথায় গামছা বেঁধে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের জমির আলে দাঁড় করিয়ে রেখে নিজে ট্রাক্টর চালিয়ে চাষের কাজ শুরু করেন৷ পরে জমি থেকে বীজতলা তোলার কাজও করেন তিনি। তবে একজন ‘চাষার ব্যাটা’ চাষিকে জমিতে চাষ করার সময় নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন এমন ছবি বাঁকুড়ায় কস্মিনকালে কেউ দেখেননি বলেই অনেকে জানিয়েছেন।
বিজেপি বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথা তো ফেলে দিতে পারিনা। উনি বিধায়কদের মাঠে নেমে চাষের কাজ করার কথা বলেছেন। বিধানসভার একজন সদস্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো তিনি এই কাজ করছেন বলে জানান। একই সঙ্গে জন্মসূত্রে ‘চাষার ব্যাটা’ হওয়ার সুবাদে তিনি জীবনের একটা সময় চাষের কাজ করেছেন বলে জানান।
এবিষয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল। দলের জেলা চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বহুচর্চিত প্রবাদ বাক্য ‘বাপকালে নেই চাষ, ধানকে বলে দূর্বাঘাস’ উল্লেখ করে বলেন, মানুষের কাছে যেতে পারছেন না তাই এসব করছেন। নাটকবাজ বিধায়ক ছবি তোলার জন্য এসব করছেন । গত পৌর নির্বাচনে মানুষ তার রায় জানিয়ে দিয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″ height=”315″ frameborder=”0″>