শিলিগুড়ি: গতকাল চার পুরসভার ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে এবং তাতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব জায়গাতেই বিরোধীদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে ঘাসফুল শিবির। গতকাল তাঁর দল ভোটে জিতেছে আর আজ শিলিগুড়িতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক! ব্যাপারটা কী?
আরও পড়ুন- গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ৪ মাস সময় মঞ্জুর হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে
আসলে শিলিগুড়িতে আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সেই বৈঠকেই হাজির ছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু, মাদারিহাটের বিধায়ক তথা পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে বিজেপির বিধায়ক, সাংসদের উপস্থিতি নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। অনেকে অনেক কথা বললেও, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিরোধী পক্ষ বুঝিয়ে দিয়েছে যে, কাজের স্বার্থে রাজনৈতিক দূরত্ব ঘোচানো সম্ভব। যদিও খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি রুটিন বৈঠক ছিল, তা ছাড়া আর কিছু নয়। সূত্রের খবর, বিজেপির দুই নেতার কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার আদিবাসীদের পরিস্থিতি জানতে চান এবং যে যে প্রকল্পগুলি রয়েছে তার অগ্রগত সম্পর্কেও বিশদে তথ্য নেন।
গতকাল ভোটে জেতার পরেই বিকেলে শিলিগুড়ি রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই অবশ্য তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে, গৌতম দেব সেখানকার মেয়র হতে চলেছেন। এই জয়ের পর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা ছিল, যে তাদের আরও বেশি নম্র হতে হবে মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে। সেই বার্তার পর আজ মমতার বৈঠকে যে চিত্র দেখা গেল তা সত্যিই ভালো লাগার। এতদিন ধরে বাংলার রাজনীতিতে বিরোধী ও সরকার পক্ষের মধ্যে চাপানউতোরের ছবি ধরা পড়েছে। একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে চান না, এমন কথাও বলা হয়েছে। তবে সেই ধারণা হয়তো বদলালো।