শিলিগুড়ি: চলছে রাজ্যের চার পুরসভার নির্বাচন। আসানসোল এবং বিধাননগরে সবথেকে বেশি উত্তেজনা থাকলেও শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরে আপাত শান্তিপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচন। ভোট চলাকালীন একাধিক ঘটনা ঘটার মাঝেই এদিন শিলিগুড়িতে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। ভোট দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সিপিএম প্রার্থী তথা বর্ষীয়ান বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। যে কারণে তিনি কাঁদলেন তা সত্যিই মর্মস্পর্শী।
আরও পড়ুন- তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে বুথেই ‘মারপিট’, তীব্র চাঞ্চল্য
এতদিন পর্যন্ত স্ত্রী’র সঙ্গেই ভোট দিতে আসতেন অশোক। শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও এসেছেন। কিন্তু গত বছর অক্টোবরে প্রয়াত হন তাঁর স্ত্রী। তাই আজকের ভোটে এই প্রথম স্ত্রীকে ছাড়া একাই এসেছিলেন তিনি। তাই প্রয়াত স্ত্রীর কথা মনে করেই চোখে জল এসে যায় তাঁর। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, প্রয়াত স্ত্রীর ছবিতে মালা দিয়েই ভোট দিতে এসেছেন তিনি। রত্নাদেবীর কথা স্মরণ করে অশোকবাবু বলেন, পুরোনো দিনের কথাই আজ তাঁর মনে পড়ছে। তাই তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। যদিও ভোট নিয়ে তেমন কোনও অসন্তোষ প্রকাশ করেননি তিনি। ভোট মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। এ ভাবে ভোট হলে বামেরা ভালো ফল করবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ দুপুরে শিলিগুড়ি নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৬/২০১ নম্বর বুথে ভোট দেন অশোক ভট্টাচার্য। অশোক ভট্টাচার্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হলেও তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। উল্লেখ্য, তাঁর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্যও সিপিএমের সদস্য ছিলেন। তবে এই ভোটে লড়ার কথা ছিল না অশোক ভট্টাচার্যের। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তাঁর ‘শিষ্য’ শঙ্করের কাছে হেরে যান। তারপর জানিয়েছিলেন যে পুরভোটে আর লড়বেন না। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এক ফোনে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেন।