কলকাতা ও বারাসত: ‘‘জে পি নাড্ডা কি বিষয়ে বৈঠক করবেন সেটা জানি না৷ তবে বাংলার সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতে বললে অবশ্যই রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা তুলে ধরব৷ আর আমার বৈঠকে যাওয়ার মূল উদ্যেশ্য হল পাট শিল্প ও জুট মিলগুলিকে ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়া।’’ সোমবার সকালে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে নিজের বাসভবনে সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। প্রসঙ্গত অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে৷ আর তার মাঝেই তাকে বারে বারে দিল্লি ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এহেন পরিস্থিতিতে এদিন অর্জুন নিজেই ধোঁয়াশা তৈরি করায় বেড়েছে জল্পনা৷
পরে বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে অর্জুন বলেন, ‘‘দলের বিরুদ্ধে আমি কোনওদিন কোন কথা বলিনি। আমি দলের একজন মন্ত্রী৷ দফতরের সিস্টেম ভুল আছে৷ তার ব্যাপারে আমি বারবার বলছি।’’ প্রকাশ্যে মুখ খোলা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কোথায় মুখ খুলব। মুখ খুললে তো প্রকাশ্যেই খুলতে হয়।’’ খানিক থেমে উগড়ে দিয়েছেন ক্ষোভ, ‘‘দলের পদ মর্যাদার হলে দলের কোনও লোক ভুল করবে, কোনও সরকারি আমলা ভুল করবে তো বলব না।’’
যদিও অর্জুনের দল বদলের জল্পনা প্রসঙ্গে এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘আমার যেটা মনে হয় যে এই সমস্যার খুব শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে। আজকে কেন্দ্রীয় সভাপতির সাথে ওনার যে কথাবার্তা হবে তাতে একটা রাস্তা অবশ্যই বেরোবে। অর্জুনদা বিজেপিতেই আছে৷ বিজেপির নেতা হিসেবেই আছে। বিজেপিতেই কাজ করছে। কোন একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে ওনার মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে৷ স্বাভাবিকভাবে সেই প্রশ্নের মীমাংসা হয়ে যাবে শীঘ্র। আমি মনে করি এটা নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করার প্রয়োজন নেই। তার কারণ অর্জুনদা আমার সঙ্গে আছে, আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’’ দাবি করেছেন, ‘‘সব ঠিক হয়ে যাবে৷ মানুষের যখন ক্ষোভ হয় সেই সময় মানুষ ক্ষোভে নানা রকম বলে কিন্তু আমার বিশ্বাস এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে কেন্দ্রীয় সভাপতির সাথে তার কথাবার্তায়।’’