৮০০ চালক নিয়ে পরিবহন দফতর অভিযান অ্যাপ ক্যাব সংগঠনের, একাধিক দাবি

৮০০ চালক নিয়ে পরিবহন দফতর অভিযান অ্যাপ ক্যাব সংগঠনের, একাধিক দাবি

কলকাতা: কলকাতা ওলা উবের অ্যাপ ক্যাব অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভার ইউনিয়ন (CITU)-এর পক্ষ থেকে এদিন শহরে মিছিল করা হয়। এরপর রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় তাঁরা। একাধিক দাবি নিয়ে তাঁরা আজ এই মিছিল করেছিল, সেই প্রেক্ষিতে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ, বারবার তাঁদের দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।

আরও পড়ুন- রোদ্দুর রায়ের দায়ের করা মামলা খারিজ হাইকোর্টে

এদিন মৌলালী রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল করে প্রায় ৮০০ চালক পরিবহন দফতরে যান। পুলিশ বেন্টিংক স্ট্রিটে তাদের আটকায়। এর পর তাঁদের মধ্যে থেকে ৪ জন মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিতে যান। সেই টিমে ছিলেন সিআইটিইউ-এর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ইউনিয়ন সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, সম্পাদক মহ মনু মানস চৌধুরী। তাঁরা জানিয়েছেন, পরিবহন মন্ত্রীর ভাল ভাবেই কথা বলেছেন। তাঁরা মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এগ্রিকেটর আইন চালু না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এছাড়াও আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের নেতা নিখিল মাইতি, সেখ আজম সহ অনেকেই।

তাঁদের মূল দাবি, দ্রুততার সঙ্গে যাত্রী, অপারেটর ও ড্রাইভারদের স্বার্থে এগ্রিকেটর আইন লাগু কর‍তে হবে। পলিউশান সার্টিফিকেট থাকা স্বত্বেও ১০ হাজার ৪০ টাকা ফাইন করা চলবে না। পলিউশন চেক করতে গিয়ে একাধিক গাড়ি খারাপ হচ্ছে। এই কাজ বন্ধ করতেই হবে। দু’চাকার ক্যাবের কমার্শিয়াল লাইসেন্স দিতে হবে। এছাড়া নতুন গাড়ির রুট পারমিট দেওয়ার সময় অযথা হয়রানি বন্ধ করতে হবে ও বিভিন্ন অজুহাতে ফাইন নেওয়া যাবে না। পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সংগঠনের কথায়, বর্তমানে অ্যাপ ক্যাব অপারেটর ও ড্রাইভাররা যন্ত্রণার মধ্যে আছে। জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তার সঙ্গে অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলির শোষণ বাড়ছে প্রতি দিন। চড়া হারে কমিশন কাটছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তার ওপর যখন তখন ইচ্ছামত ড্রাইভারদের আই ডি ব্লক করছে।

আরও পড়ুন- পুজোর অনুদানের বিরোধিতায় আরও এক মামলা, শীঘ্রই শুনানি

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল রাজ্যের তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী, পরিবহন সচিব অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলি ও রাজ্যের বিভিন্ন ড্রাইভার ইউনিয়নগুলির সঙ্গে সভা করেন। সেই সভাতে এগ্রিকেটর আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়। এই আইনে অপারেটর, ড্রাইভার ও যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়। এগ্রিকেটরদের কমিশন ২০% (জিএসটি সহ) নির্দিষ্ট হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত ৩ মে থেকে এই আইন কার্যকর হবে। কিন্তু এই আইন এখনো কার্যকর হয়নি। এছাড়াও আরটিও সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 10 =