কলকাতা: সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কিছু সময়ের জন্য তিনি ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কথা বলায় আবার স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই দাবি করেছিল যে তিনি তদন্ত সহযোগিতা করছেন না। কিন্তু এই অভিযোগ মানতে নারাজ ‘কেষ্ট’। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি সব রকম সহযোগিতা করছেন। শনিবার হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে যাওয়ার পথে এই দাবিই করেছেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন- কতজনকে দেশে ঢুকিয়েছে? আল কায়দা জঙ্গিকে জেরায় বিস্ফোরক তথ্য
গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। আজ তাঁর সিবিআই হেফাজতের শেষ দিন। আজই আসানসোল বিশেষ আদালতে তোলা হবে তাঁকে। সূত্রের খবর, সিবিআই তাঁকে আরও ৪-৫ দিন হেফাজতে চাইতে পারে। আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের তাঁর বিপুল সম্পত্তির টাকার উৎস কী তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই। সেই কারণে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে গোয়েন্দারা। এদিন আদালতের নির্দেশ মতোই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কম্যান্ড হাসপাতালে। যাওয়ার পথেই সাংবাদিকরা তাঁকে সিবিআই সহযোগিতার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।
এদিকে শুক্রবার বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে সিবিআই হানার পর খোঁজ মিলেছে দামি দামি একাধিক গাড়ি। বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। দেখা গিয়েছে, অনুব্রত যে কালো গাড়ি ব্যবহার করতেন তাতে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার আছে। কেন গাড়িতে মমতার সরকারের স্টিকার লাগানো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ৪৫ বিঘা জমির ওপর তৈরি এই চালকলটি আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে কেনেন অনুব্রত, এমনটাই সূত্রের খবর। এখানে শুধু গাড়ি নয়, একাধিক মোটর বাইকও মিলেছে। সঙ্গে রয়েছে একাধিক ট্রাক। ইতিমধ্যে আবার অনুব্রতর প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।