আসানসোল: তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই। আগেই এই দাবি করেছেন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিল নিয়ে অনেক প্রশ্ন। জানা গিয়েছিল, ২০১৩ সালে ৪৫ বিঘা জমির ওপর তৈরি এই চালকলটি আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে কেনেন অনুব্রত। কিন্তু আদালতে তাঁর আইনজীবী দাবি করলেন, অনুব্রতকে চালকল উপহার দিয়েছেন ওঁর শ্বশুর তাও বহু বছর আগে। একই সঙ্গে তাঁর এও দাবি, অনুব্রতের প্রভাবে কাজ করেছেন সায়গল, এমন প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন- কতজনকে দেশে ঢুকিয়েছে? আল কায়দা জঙ্গিকে জেরায় বিস্ফোরক তথ্য
শনিবারই সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। এদিকে তাঁকে আরও চার দিনের হেফাজতে চেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মাঝে তাঁর সম্পত্তি নিয়ে চর্চা নতুন করে শুরু হয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত এনামূল হকের। কিন্তু এই বিষয়টি মানতে নারাজ অনুব্রতর আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তিনি তাঁর মক্কেলের জন্য জামিন চেয়েছেন। তবে সিবিআই স্পষ্ট দাবি করেই আদালতে বলেছে, ব্যবসা কারোর একার নয়, এটা একটা চক্র ছিল। মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর। এমনই দাবি তাঁদের।
উল্লেখ্য, ওই চালকলে শুধু গাড়ি নয়, একাধিক মোটর বাইকও মিলেছে। সঙ্গে রয়েছে একাধিক ট্রাক। বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। দেখা গিয়েছে, অনুব্রত যে কালো গাড়ি ব্যবহার করতেন তাতে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার আছে। কেন গাড়িতে মমতার সরকারের স্টিকার লাগানো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।