Aajbikel

গরু পাচারকাণ্ড: শুধু অভিযোগ আছে, প্রমাণ নেই! সিবিআইকে নিশানা অনুব্রতর আইনজীবীর

 | 
anubrata

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় এদিন ফের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের পক্ষে সওয়াল তুললেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি আদালতে জানান, ১৪৫ দিন হয়ে গেল জেলে রয়েছে অনুব্রত এই মামলায়। অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত বিএসএফ আধিকারিক জামিনে মুক্ত রয়েছেন। মামলায় চার্জশিটও হয়ে গিয়েছে। তাহলে কেন তাঁর মক্কেল জামিন পাবেন না, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আরও পড়ুন- আক্রান্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কুমারগঞ্জে ইটবৃষ্টি, ভাঙল কাঁচ

বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য এক অভিযুক্তদের নাম জানতে পারে তদন্তকারী অধিকারীকরা। এই মামলায় নাম উঠে আসে এনামুল হকের। পরে তার কলকাতা অফিসে সিবিআই তল্লাশি চালায়। এনামুল হককে গ্রেফতার করে হয়। পরে সে জামিনে মুক্তি পায় ১৮৫ দিনের মাথায়। আবার সায়গল হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে সে জেলে রয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম আসে। অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ আছে কিন্ত প্রমাণ নেই। তোলাবাজির অভিযোগ থাকলেও কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি সিবিআই।

কপিল সিব্বলের আরও বক্তব্য, একবার সিবিআইয়ের মামলা ইডি নিচ্ছে, আবার ইডির মামলা সিবিআই নিচ্ছে। এটা কি ফেডারেল স্ট্রাকচার, প্রশ্ন তাঁর। যদিও গোটা বিষয়ের পাল্টা দিয়েছে সিবিআইও। তাদের ব্যাখ্যা, সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা গিয়েছে এনামুল হক এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তার মোবাইলের কল লিস্ট থেকে পাওয়া গিয়েছে অনুব্রত এবং এনামুল হকের কথোপকথনের প্রমাণ। সিবিআই দাবি করছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই অনুব্রত মণ্ডল মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে বেআইনি গরু পাচার চালাত। বাংলাদেশে গরু পাচারের সহযোগিতা করত রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে। সেই টাকায় নামে বে-নামে প্রচুর সম্পত্তি করেছে।

Around The Web

Trending News

You May like