৪ ঘণ্টা CBI জিজ্ঞাসাবাদ শেষে SSKM-এর পথে অনুব্রত?

৪ ঘণ্টা CBI জিজ্ঞাসাবাদ শেষে SSKM-এর পথে অনুব্রত?

b749d80144fccecc89fcf3ac71a64dc8

 কলকাতা: গরুপাচার কাণ্ডে আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ ১০টা ১০ নাগাদ শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷ তাঁর জন্য ৭ পাতার প্রশ্নের তালিকা তৈরি রেখেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷ ৩৬টি প্রশ্ন ছিল সেখানে৷ মোট তিন দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলে৷ চার ঘণ্টা পর সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি৷ 

আরও পড়ুন- গঙ্গার পাড়ে মদ্যপান? বেত হাতে শিক্ষা সন্ন্যাসীর

গতকালই অনুব্রত জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে তিনি নিজাম প্যালেসে আসবেন৷ সেই মতো ৯টা ১০ নাগাদ চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরন৷ ১০টার আগেই নিজার প্যালেসে চলে আসেন৷  প্রথমে তাঁকে অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চে বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়৷ এর পর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷ সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আজ অনুব্রত মণ্ডল যে বয়ান দিয়েছেন সেই বয়ান খতিয়ে দেখা হবে৷ অন্যান্যদের বয়ানের সঙ্গেওে তা মেলানো হবে৷ এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে কিনা৷  

এর আগে ছয় বার তলব এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল৷ সপ্তমবারের নোটিশের ভিত্তিতে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন৷ আজ প্রথম এক ঘণ্টায় তাঁর কাছ থেকে লিখিত বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর৷ সেই বয়ানের একটি কপি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর৷ এর পরেও অনুব্রতকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়৷ দুপুর ২টো নাগাদ ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের কাঁধে ভর করে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত মণ্ডল৷ বেরনোর সময়েও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা৷ নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে এসএসকেএম-এর পথে রওনা দেয় অনুব্রতর গাড়ি৷ 

এর আগে গত ৬ এপ্রিল গরুপাচার-কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। সেদিন সময় মতো বাড়ি থেকেও বেরিয়েছিলেন৷ কিন্তু নাটকীয় ভাবে তিনি সিবিআই দফতরে না গিয়ে পৌঁছে যান এসএসকেএম-এ৷ শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভর্তি হন উডবার্ন ওয়ার্ডে।

 
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে একটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছিল৷ সেখানে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম ছিল৷ এছাড়া এনামূল হকের বেশ কিছু আত্মীয় এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল৷ তাঁরা সিবিআই-এর সামনে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ করেছেন৷ সেই সূত্র ধরেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়৷ সপ্তমবারের নোটিশে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি৷