রামপুরহাট: বগটুই গ্রামে যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রথম থেকেই অভিযোগের তীর ছিল তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের দিকে। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছিল যে, আনারুলের নেতৃত্বেই ঘরে আগুন লাগানো হয়, পুলিশকেও সে নিয়ন্ত্রণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গতকাল গ্রামে গিয়েছিলেন তখন তাঁকেও একই কথা বলে গ্রামবাসীরা। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আনারুল। আজ আদালতে তাঁকে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বগটুইয়ে ফরেনসিক টিম, নমুনা সংগ্রহে বাড়ল গতি
রামপুরহাট আদালত আজ আনারুলকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তাঁকে জেরা করলে আরও অন্য নাম উঠে আসবে। যদিও গ্রেফতার হওয়ার সময় আনারুল যা বলেছিলেন আজ আদালতে ঢোকার সময়ও সেই একই কথা আওড়ান। তিনি দাবি করেন যে তিনি নির্দোষ। যদিও আদালত পুলিশের কাছে থেকে জেনেছে যে বগটুই কাণ্ডে আনারুল ‘মাস্টার মাইন্ড’। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বাকিদের নাম পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে আদালত। গতকালই বিরোধীরা দাবি করেছিল যে, গ্রেফতারি প্রমাণ করে দেয় যে বগটুইয়ের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য পুলিশ জড়িত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতেই গোটা বিষয় পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
যদিও আনারুল জানিয়েছেন, তিনি নির্দোষ। যখন ঘটনা ঘটে তখন নাকি তিনি গ্রামে ছিলেন না, হাসপাতালে ছিলেন। এদিকে তাঁর অনুগামীদের আরও বিস্ফোরক দাবি। তারা বলছেন, অনুব্রত মণ্ডল ফাঁসিয়েছেন আনারুলকে। তিনি ভালো লোক। প্রসঙ্গত, ৫২ বছরের আনারুলের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে৷ আনারুলের জীবন শুরু হয়েছিল একজন রাজমিস্ত্রী হিসাবে৷ ২০১১ সাল থেকে তিনি ঠিকাদার হিসাবে ব্লকে ছিলেন৷ এখানে সংগঠন সামলানোর কাজ করতেন৷