কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আনারুল হোসেন৷ রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সভাপতি তিনি৷ বৃহস্পতিবার তারাপীঠে একটি হোটেলের কাছ থেকে আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন- ব্রেকিং: ফের অভিষেককে তলব ইডির! এই মাসেই আবার হাজিরার নির্দেশ
এদিন বগটুই গ্রামে পৌঁছনোর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আনারুলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন নিহতদের পরিবার৷ এরপরেই আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হয় আনারুলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হলে যেখান থেকে হোক পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে কলকাতা রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আনারুলের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ৷ কিন্তু, সেখানে এক ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েও তাঁকে পাওয়া না গেলে, ফিরে যায় পুলিশ৷ এর পরেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলকে৷
৫২ বছরের আনারুলের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে৷ আনারুলের জীবন শুরু হয়েছিল একজন রাজমিস্ত্রী হিসাবে৷ এর পর প্রথমে কংগ্রেস ও পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন৷ ২০১১ সাল থেকে তিনি ঠিকাদার হিসাবে ব্লকে ছিলেন৷ এখানে সংগঠন সামলানোর কাজ করতেন৷ ভাদু শেখ তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন৷ ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা বগটুই গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ৷ বোমাবাজি ও আগ্নিসংযোগ ঘটায়৷ অভিযোগ, খবর পাওয়ার পরেও যথাযথ পদক্ষেপ করেননি আনারুল৷ অন্যদিকে, আনারুলের অনুগামীদের দাবি, তাঁকে ফাঁসিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল৷ ভাদু শেখের মৃত্যুর দিনই হাসপাতাল আর থানায় গিয়েছিলেন আনারুল। বাগটুই গ্রামে সোনা শেখের বাড়ির ধারেকাছেও দেখা যায়নি তাঁকে। সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে ভাদু শেখের অনুগামীরাই। সোনা শেখের পরিবার জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীরা হাজির ছিলেন৷ তাহলে এই ঘটনায় আনারুলের ভূমিকা কী? প্রশ্ন তাঁদের৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>