কলকাতা: নবান্ন অভিযানের দিন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ হয়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব ছবি, ভিডিও ভাইরাল। পুলিশের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ইট, পাথর ছুড়েছে, অন্য অনেক পুলিশকে মেরেছে, গাড়ি ভাঙচুর করে, আগুন লাগিয়েছে। ওদিকে, বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশি অত্যাচার হয়েছে মঙ্গলবার। তাদের ভয় দেখানো থেকে শুরু করে মারধর করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে একটি ভিডিও শেয়ার করে বাংলার পুলিশকে জেহাদিদের সঙ্গে তুলনা করেছেন বিজেপির এরাজ্যের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে পুলিশকে মারধর, গাড়িতে আগুন! ৪ জন গ্রেফতার
বিজেপি নেতা টুইট করে একটি ভিডিও দিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ”শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়াটা কি পুলিশ ম্যানুয়ালে ভিড় নিয়ন্ত্রণের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর? গতকাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এটাই করেছে তাতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হয়েছেন। পেশাদার বাহিনী আর জেহাদিদের মধ্যে কি ফারাক থাকা উচিত নয়?” তাঁর এই মন্তব্যে এখন রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে লালবাজার সূত্রে খবর, বিজেপি কর্মীদের মারে আহত হয়ে অন্তত ৩০ জন পুলিশ এখন হাসপাতালে ভর্তি। মারধরের ঘটনা ছাড়াও মঙ্গলবার এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীদের একাংশ এই কাজ করেছে বলেই অভিযোগ। যদিও বিজেপির দাবি, পুলিশই ওই গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে, বোমা মেরেছে।
এও জানা গিয়েছে, মারের ঘটনায় বেলেঘাটা, নিউ মার্কেট থানা এলাকা এবং এন্টালি থানা এলাকা থেকে একজন করে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ আহত পুলিশ কর্মীদের আজ বিকেলে হাসপাতালে দেখতে যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।