এনআরএসের সামনে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকার হাওয়া খুলল সিভিক! দেড় ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে রোগী

এনআরএসের সামনে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকার হাওয়া খুলল সিভিক! দেড় ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে রোগী

কলকাতা:  মাঝে মাঝেই সিভিক ভলেন্টিয়ারের জোর জুলুমের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সিভিভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে এনআরএসে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকার হাওয়া খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে, সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর রোগী ছিলেন। ঘটনায় রোগী ও তাঁর পরিবার প্রচণ্ড বিপাকে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার শর্মিলা মৌলিক ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। 

জানা গিয়েছে, এনআরএসের ইউএন বিল্ডিংয়ে অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়ি করিয়ে রোগীকে আনতে যায় পরিবার। অভিযোগ, রোগীকে নামিয়ে এনে দেখেন সিভিক ভলেন্টিয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের চারটি চাকার হাওয়া খুলে দিয়েছেন। এনআরএসে পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীদের উপস্থিতিতে সিভিক ভলেন্টিয়াররা কীভাবে এই ধরনের সাহস পান, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অ্যাম্বুল্যান্স অনেকক্ষণ বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে, অন্যান্য রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে। এই কারণে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে  বলে সিভিক ভলেন্টিয়ারের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, রোগীর পরিবারের তরফে জানানো হয়, নার্ভের রোগী, ওপর থেকে আনতে তো সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে একটু মানবিকতা কি দেখানো যেত না। 

জানা যায়, পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকুলের বাসিন্দা সুষমা গুড়িয়া নিউরো সার্জারির রোগী। পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার তাঁর ছুটি হয়। চিকিৎসকরা জানান, এবার থেকে তাঁর বাড়ি থেকে চিকিৎসা হবে। অ্যাম্বুল্যান্স ঠিক করে পরিবার রোগীকে আনতে যান। ফিরে এসে দেখেন সিভিক ভলেন্টিয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের চারটি চাকার হাওয়া খুলে দিয়েছে। যার জেরে রোগীকে প্রায় দেড় ঘণ্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অন্য একটি গাড়ি ঠিক করে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সের চাকার হাওয়া খুল দেওয়া মানে রোগীকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিড়াম্বনায় ফেলা। 

এনআরএসের ডেপুটি স্পিকার শর্মিলা মৌলিক অবশ্য জানিয়েছেন, যেভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে, ঘটনাটি সেরকম নয়। হাসপাতালে সারাক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্স পার্কিং করে রাখা হয়। সেই কারণে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সমস্যা হয়। অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে সেই কারণেই কড়াকড়ি শুরু করা হয়েছে। তিনি মনে করছেন, ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের অভিযোগ সাজানো। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =