গ্রেফতার অনুব্রত, নতুন করে ভাইরাল কেষ্টর বিতর্কিত ডায়গল, শুনেছেন?

গ্রেফতার অনুব্রত, নতুন করে ভাইরাল কেষ্টর বিতর্কিত ডায়গল, শুনেছেন?

461980fea288ac101c2a39c20d544687

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় নিজের গড় থেকে নাটকীয় ভাবে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল৷ দশমবার তলব এড়াতেই কড়া পদক্ষেপ সিবিআই-এর৷ তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার ভবিষ্যৎ কী, তা সময়ই বলবে৷ তবে অতীতে বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা৷ বিস্ফোরক ডায়ালগে গরম করেছেন ভোটের বাজার৷ কখনও বলেছেন চারাম চরাম ঢাক বাজবে, কখনও বলেছেন পুলিশকে বোমা মারুন৷ কিংবা তাঁর গুড়-বাতাসা, ভোটের পাচন বা উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে, তাঁর প্রতিটা কথা ভাইরাল হয়েছে ঝড়ের গতিতে৷ 

ভোটের আগে অনুব্রতর এই সকল গরমাগরম ডায়লগ নিয়ে বহুবার সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা৷ ধমক দিয়েছেন খোদ দলনেত্রী৷ কিন্তু কোনও দিনই ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ৷ পদক্ষেপ করেনি দলও৷ তাই তাঁর ডায়লগও বন্ধ হয়নি৷ রাজনীতির কারবারিদের কথায়, এই সকল হিট ডায়লগই অনুব্রতকে রাজনীতিতে আলাদা মাইলেজ দিয়েছিল৷ কী কী ডায়লগ দিয়েছিলেন কেষ্ট? দেখুন-

অনুব্রত উবাচ-
•    কোনও প্রশাসনের পুলিশ যদি ভাবে নির্দলকে সমর্থন করবে, তাহলে সেই প্রশাসনের পুলিশের উপর বোম মারুন৷ 
•     বাড়ি থেকে বেরতে দেব না৷ মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেব৷ 
•     পুলিশের সামনে সুর চড়িয় অনুব্রতকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘৭টা পর্যন্ত টাইম দিলাম, ৯ টার মধ্যে ঢুকে যাব৷ একটাও বাড়ি-ঘর রাখব না৷ চুরমার করে দেব৷ ৯টার ভিতরে বাড়ি-ঘর ভেঙে জ্বালিয়ে দেব৷ মেরে হাত-পা ভেঙে দেব৷ 
•     বিজেপি যদি ভাবে আমরা আচমকাই কোনও ব্যক্তিকে মারব, তাহলে আমার চেয়ে ভয়ঙ্কর কেউ হবে না৷ সন্ত্রাস করলে আইনে ব্যবস্থা হবে৷ মানুষ মারলে ওরা গ্রামেই থাকতে পারবে না৷ গ্রাম ছাড়া করে দেব৷ 
•     ভোটের আগে একবার কেষ্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কী থাকবে বুথে? জবাবে বলেছিলেন, অনেক কিছু থাকবে৷ নকুলদানা থাকবে, পাচন থাকবে৷ সেই সঙ্গে মানুষের জন্য ভালোবাসা, আদর, সোহাগ থাকবে৷ মানুষকে জল-নকুলদানা দেব৷ 
•     একুশের বিধানসভা ভোটের আগে অনুব্রতের দাওয়াই ছিল, ‘খেলা হবে৷ বাড়িতে খেলা হবে, চারজনেও খেলা হবে৷ বাড়িতে গিয়ে গিয়ে খেলা হবে৷ ভয়ঙ্কর খেলা হবে৷ এই মাটিতেই খেলা হবে৷  
•     কেষ্ট একবার বলেছিলেন, ‘একেবারে ঢেঁকিতে ভরে পিষে দেব’৷
•     কখনও বলেছিলেন, থালা সাজিয়ে রেখেছে, কেউ খাবার দিচ্ছে না৷ কষ্ট হচ্ছে না? খুব কষ্ট হচ্ছে! থালা দিয়েছে খাবার দিচ্ছে না, আহা সোনা গো আমার৷