কলকাতা: বাগুইআটির দুই ছাত্র খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পরিবারের নিশানায় আছে পুলিশ। মৃতদের বাবা-মার দাবি, পুলিশ যদি আগে থেকে সক্রিয় থাকত তাহলে আজ হয়তো এই দিন দেখতে হয় না। এদিন মৃত স্কুল ছাত্র অতনু দে’র বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনিও পুলিশের ওপর নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সেখানে। বলেন, পুলিশ ও প্রশাসন যদি সময় মতো কাজ করত তাহলে এই দিন দেখতে হয় না।
আরও পড়ুন- বাগুইআটির জোড়া খুনে গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড সত্যেন্দ্র, হাওড়া স্টেশন থেকে ধরল পুলিশ
গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অধীর বলেন, পুলিশের ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশ যদি সক্রিয় হত তাহলে দুই তরুণকে এভাবে মরতে হয় না। তিনি এও অভিযোগ করেছেন, পুলিশকে সাসপেন্ড করে এখন আসল ব্যাপারটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যা ঘটেছে তা দুঃখজনক বললেও কম বলা হয়। অধীর ছাড়াও এর আগে শাসক দল এবং সিপিএম, বিজেপির একাধিক নেতা মৃতদের বাড়ি এসে দেখা করে গিয়েছে। যদিও পরিবার দাবি করেছে, তারা রাজনীতি চায় না, মূল অভিযুক্তের ফাঁসি চায়।
শুক্রবারই জোড়া খুনের মূল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তোলা হলে তাকে সিআইডি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। কিন্তু হাওড়া স্টেশনে কী করছিল সে? সূত্রের খবর, তাকে জেরা করে সিআইডি জানতে পেরেছে, খুনের পর হাওড়া স্টেশনেই দিব্যি ছিল সে। মাত্র ১০ টাকা দিয়েই রাত্রিবাস করছিল, এসির হাওয়াও খাচ্ছিল! সম্প্রতি স্টেশনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে, তাতে হেলেদুলে চলা ফেরা করতে দেখা যাচ্ছে সত্যেন্দ্রকে।