মালদা: ছোটবেলা থেকে প্রেম। সেই প্রেমের ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখে শিউরে উঠেছেন রাজ্যবাসী। পুলিশের জেরার সুশান্ত জানিয়েছেন, শেষের দিকে তাঁদের সম্পর্কের তিক্ততা আসতে শুরু করেছিল। সেই সময় সুতপা ও তাঁর মা মালদহ শহরে রথবাড়ি মোড়ে একদিন প্রকাশ্যে সুশান্তকে বেধড়ক মারধর করে। সেই মারধর তিনি মেনে নিতে পারেননি। সেখান থেকেই তিনি প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিলেন। অন্যদিকে, সুশান্ত আগে জানিয়েছিলেন, সুতপার বাবা ক্লাবের ছেলেদের দিয়ে মারধর করিয়েছিলেন। একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন সুশান্তের পিসি।
বৃহস্পতিবার বহরমপুর আদালত সুশান্তকে আরও দুই দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। সেই আবেদন গ্রাহ্য হতেই কড়া নিরাপত্তায় বৃহস্পতিবারই বহরমপুরের পুলিশ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সুশান্তকে মালদহ নিয়ে যান। সেখানে বহরমপুরের পুলিশ সুশান্তকে নিয়ে এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের কাছে যায়। সেখানেই পিসির বাড়িতে বড় হয়েছেন সুশান্ত। পিসির বাড়ি তালা বন্ধ ছিল। তাই সেখানে কারও সঙ্গে পুলিশ কথা বলতে পারেনি। সুশান্তের পিসির বাড়ির বিপরীতে সুতপার বাড়ি। মুখোমুখি বাড়িতে সুশান্ত ও সুতপা বড় হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ভালোবাসা বেড়েছে।
সুশান্তের পিসির বাড়ির পর বহরমপুরের পুলিশ সুতপার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে। পুলিশ সুতপার সঙ্গে সুশান্তের কোনও ছবি রয়েছে কি না, তা জানতে চান। সুতপার বাবা জানান, সুশান্ত তাঁর মেয়েকে বিরক্ত করত। সেই কারণে তিনি ২০১৭ সালে সুশান্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যে দোকান থেকে সুশান্ত সুতপাকে খুন করার অস্ত্র কোথা থেকে কিনেছিলল, মুর্শিদাবাদ পুলিশকে তা দেখায়। যদিও সেই সময় দোকানটি বন্ধ ছিল।এরপরে কড়া নিরাপত্তায় বহরমপুরে নিয়ে আসা হয়।
জেরায় পুলিশকে সুশান্ত জানিয়েছে, সুতপাকে খুনের আগে সে অনলাইন থেকে একটা খেলনা পিস্তল কিনেছিল। সেই খেলনা পিস্তলের দাম নিয়েছিল প্রায় ২০০টাকা। সেই খেলনা পিস্তল দেখেই সবাই ভয় পেয়ে যায়। যখন সুতপাকে খুন করা হচ্ছিল, কেউ এগিয়ে আসতে পারেননি।