একাধিক বাম নেত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে এক নেটিজেনের বিরুদ্ধে লালবাজারের দ্বারস্থ হলেন ঐশী ঘোষ। নিজের ফেসবুক পেজে লালবাজারের সাইবার সেলে অভিযোগ জানানোর প্রমাণ দেন এই বাম নেত্রী। রবিবার থেকেই এক ব্যক্তির বামনেত্রীদের কদর্য ভাষায় আক্রমণের একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেককেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা যায়।
নিজের ফেসবুক পেজে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাংসদের এই সভানেত্রী লেখেন, ‘ফেসবুকে একজনের কুমন্তব্য চোখে পড়েছে। সেখানে ওই ব্যক্তি কমরেড মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কমরেড দীপ্সিতা ধর সহ একাধিক নেত্রীকে অত্যন্ত কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁদের অপমান করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।’ কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে বাম নেত্রী অভিযোগে জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকজন বামনেত্রীর নামে কদর্য মন্তব্য করেছেন স্বার্থক দাস নামের ওই ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই মন্তব্যের মধ্যে ওই ব্যক্তি শুধু বামনেত্রীদের নয়, কদর্য ভাষায় সমস্ত মহিলাদের অপমান করেছেন। অবিলম্বে স্বার্থক দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন ঐশী দাস।
প্রসঙ্গত, কমেন্টে ওই ব্যক্তি অন্যান্য বাম নেত্রীদের পাশাপাশি ঐশী দাসকেও কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন। পাশাপাশি মহম্মদ সেলিমের নাম উল্লেখ করেও অপ্রীতিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে স্বার্থক দাস নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাম আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ও এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহিলা রাজনীতিবিদ মানেই তাঁদের সম্পর্কে খারাপ, নোংরা কথা বলা যাবে, সেই ধারণা থেকে বের হতে হবে। বাম আইনজীবীরা কোনওভাবেই এই ঘটনাকে প্রশ্রয় দেবে না।
এর আগে ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে কদর্য ভাষায় আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও দীপ্সিতা ধরকে। ফেসবুকের একটি গ্রুপে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, পায়েল সরকার ও মিমির ছবির সঙ্গে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও দীপ্সিতা ধরের ছবি কোলাজ করা হয়। সেখানেই এক জনৈক মহিলা অভিনেত্রী প্রার্থীদের সঙ্গে বামনেত্রী দের রূপের তুলনা করেন। বামনেত্রীদের ‘কাজের লোক’ বলেও উল্লেখ করেন। তবে এই মিমের যোগ্য জবাব দেন দীপ্সিতা ধর। তিনি বলেন, ‘আমরা তো ওদেরই লোক। ওদের দাবি, দাওয়া নিয়ে আমদের লড়াই।’