পরপুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রী, স্বামীর সালিশি সভায় যা করলেন মহিলা

পরপুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রী, স্বামীর সালিশি সভায় যা করলেন মহিলা

বালুরঘাট:  স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছিলেন স্বামী। এরপরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এক সময় সেই অশান্তি এতটা চরম পর্যায় চলে যায় যে সালিশি সভা ডাকা হয়। সেই সলিশি সভাতে সব মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু সালিশি সভা থেকে ফিরে স্বামী বাড়িতে স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। 

ইতিমধ্যে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঝুলন্ত মহিলার দেহ উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মল্লিকা দেবনাথ। বয়স ১৯ বছর। মৃতার পরিবার স্বামী নকুল দেবনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এসেছে। বালুরঘাট থানার পুলিশ ইতিমধ্যে নুল দেবনাথকে আটক করেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। মহিলার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই জানা যাবে, ওই তরুণীর কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে কামারপাড়ার মল্লিকার সঙ্গে দিনমজুর নকুল দেবনাথের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নকুল ভ্যান চালায়। তাই প্রতিরাতে দেরি করে বাড়ি ফেরে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরে। অভিযোগ, সেই সময় বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন তিনি। এই দৃশ্য সহ্য করতে পারেনি নকুল। তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি করেন। ওই যুবককে আটকে রেখে প্রতিবেশীদের জড়ো করেন। রাতে গ্রামে হুলস্থূল হয়। পরে গ্রামের মোড়লরা সালিশি সভা ডাকে। সেখানে বচসার নিষ্পত্তি হয়। সব কিছু মিটমাট হয় বলে জানা গিয়েছে। 

জানা যায়, সালিশি সভায় মোড়লদের কথা মতো সেখানে উপস্থিত ছিলেন না মল্লিকা। তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তবে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। সালিশি সভার জন্য কেউ বাড়িতে ছিল না। সালিশি সভা থেকে নকুল ফিরে মল্লিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে শ্বশুরবাড়ির সদস্য ও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এসেছে। ঘটনায় মৃতার স্বামী নকুল দেবনাথকে বালুরঘাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + nine =