তমলুক: নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ মেলার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানা এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করে৷ স্কুল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয় ওই স্কুল ছাত্রকে৷ অভিযুক্ত ছাত্রের নাম শেখ ইয়াসিন৷ বাড়ি, নন্দকুমার থানার শ্রীধরপুর গ্রামে৷ বাসুদেবপুর মহারাজা নন্দকুমার হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ওই ছাত্র প্রতিদিনের মতোই শনিবার স্কুলে আসে৷ স্কুলের ক্যান্টিনে ছাত্রটির হাবভাব দেখে সন্দেহ হয় শিক্ষকের। ছাত্রের কাছ থেকে উদ্ধার হয় নেশাজাতীয় দ্রব্য। এরপরই তার ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে বন্দুক উদ্ধার করেন শিক্ষক৷
স্কুলের শিক্ষক ভবতোষ ভুঁইয়া বলেন, “একটা ক্লাস করার পর ওই ছেলেটি ক্যান্টিনে খাচ্ছিল৷ খেয়ে আসেনি কেন, সেটা জিজ্ঞেস করতে গিয়ে ওর ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয়৷ ব্যাগের মধ্যে কি রয়েছে, জানতে চাওয়ায় ও কিছু একটা লোকানোর চেষ্টা করছিল৷ তখনই ব্যাগ তল্লাশি করে বন্দুক মেলে৷’’ বন্দুকের পাশাপাশি ওই ছাত্রের কাছ থেকে মিলেছে বিড়ি ও গুটকা৷ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷
ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় নন্দকুমার থানার পুলিশকে। দ্রুত পুলিশ গিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র ও বন্দুকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানা যায় ওই বন্দুকটি বুলেট ব্যবহারে নয়। কোন মেলা বা অনুষ্ঠানে বেলুন ফাটানোর জন্য বন্দুকটি ব্যবহার করা হয়। পুলিশ ওই ছাত্রকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই ছাত্রের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই নবম শ্রেণির ছাত্রের বাবা নন্দকুমার বাজারে লোহা-লক্কড়ের দোকান রয়েছে। ওই বন্ধুক কোথায় পেল ছাত্র ? বন্দুক কি কাজে লাগে ছাত্রের ? পরিবারের লোকেরা কি বন্দুক সম্পর্কে জানত? একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷