রাজারহাট: পারিবারিক অশান্তির জেরে প্রাণ গেল দুধের শিশুর। জানা গিয়েছে, শান্তির সময় কাকিমা মায়ের কোল থেকে আট মাসের শিশুকে মায়ের কোল থেকে টেনে ছুঁড়ে ফেলেন। প্রাথমিকভাবে শিশুটি সুস্থ ছিল। কিন্তু তারপরের দিনই শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটির মৃত্যুর পরেই চাঞ্চল্য দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানাচ্ছেন শিশু কন্যাটির মা ও কাকিমার মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার রাতে দুই জায়ের মধ্যে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।ঝগড়ার সময় শিশুটি তার মায়ের কোলে ছিল। হঠাৎ করেই অভিযুক্ত মহিলা শিশুটিকে টেনে ফেলে দেয়। নীচে পড়ে যাওয়ার পরেই শিশুটি তারস্বরে চিৎকার করতে শুরু করে। তবে কিছুক্ষণ পরেই শিশুটি ভুলে যায়। পরিবারের অন্যান্যরা জানিয়েছেন, শুক্রবার অনেক রাত অবধি শিশুটি খেলেছিল। দুধও খেয়েছিল। শিশুটির মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকত্ব দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে সকালে শিশুটিকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশুটির বাবা-মা তার কাকিমার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রজু করেছেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এই পরিবার কয়েকদিন আগেই এলাকায় ভাড়া আসেন। আসার পর থেকে দুই জায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তবে শুক্রবার অশান্তির মাত্রা অনেকটা বেশি ছিলেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অশান্তির সময় অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ করেই অভিযুক্ত শিশুটিকে তার মায়ের কোল থেকে ফেলে দেয়। এরপর শিশুটি খুব কান্নাকাটি করে। তারপর সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু শিশুটিকে ফেলে দিতে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। শিশুটির বাবা এলাকায় মুন্না নামে পরিচিত। তিনি বাড়িওলার বাড়িতে কাজ করতেন। মহম্মদ আলি নামের বাড়িওলা বলেন, প্রায় দেড় বছর হল ভাড়া এসেছিল শিশুটির পরিবার। তবে পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। তবে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটতে পারে তিনি কল্পনা করতে পারেননি। তবে কী কারণে কাকিমা ও শিশুটির মায়ের মধ্যে অশান্তি হতো, তা জানা যায়নি।