কলকাতা: করোনা মহামারীর জেরে বাংলার মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকেন, তা নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, ফ্রিতে রেশন ব্যবস্থা চালু হতে না হতেই তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক৷ রেশনে কম পরিমাণ সামগ্রী পাওয়া থেকে শুরু করে চাল বদল, নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলা রাজনীতি৷ রেশনে অনিয়মের আবহে এবার সরাসরি তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে তুলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপান বন্দ্যপাধ্যায়৷ ঘুরিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তুললেন আঙুল৷
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে রেশন সামগ্রী বিতরণের উপরই অগ্রাধিকার দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এখন যে রেশন ব্যবস্থা রাজ্যে চলছে তাতে প্রায় ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন৷ যাঁদের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই, এমন ৬৫ লক্ষ মানুষকে কুপন দেওয়া হয়েছে৷ সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি মানুষ রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় উপকৃত বলে তিনি জানান৷
খাদ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্র এ বিষয়ে এখনও কোনও সাহায্য করেনি। ডিজিটাল রেশন হোল্ডাররাও রাজ্যের তরফে দেওয়া রেশনই পাচ্ছেন বলে। মে মাসের প্রথম পাঁচ দিনেই রেশনে ব্যবস্থার মাধ্যমে ৫০ শতাংশ গ্রাহক খাদ্য শষ্য তুলে নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব খাদ্য সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকিকে পাশে নিয়েই এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র সচিব৷ দুপুরে ২ ঘণ্টা বাদে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রাজ্যের ২১ হাজার রেশন দোকানের মাধ্যমে খাদ্য শস্য দেওয়া হচ্ছে৷ অত্যন্ত গরিব মানুষদের অতিরিক্ত পাঁচ কেজি চাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পালন করেছে রাজ্য সরকার৷