হলদিয়া: সাত বছরের শিশুকন্যাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী মধ্যবয়স্ক বিরুদ্ধে। শিশুকন্যার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিয়ুক্ত মধ্যবয়স্ককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির শালুকখালি গ্রামে। হলদিয়া দূর্গাচক মহিলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির নাম সঞ্জীব দাস। শুক্রবার ধৃতকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩জুলাই নাবালিকা খেলারচ্ছলে কাপড় পড়ে প্রতিবেশী সঞ্জীব দাসের ভূষিমাল দোকানে যায়। এরপর অভিয়ুক্ত দোকানের ভেতরে খাটে শিশুকন্যাকে শুইয়ে দেয়। তারপরেই যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ছুটে এসে মাকে সব কথা জানায়। অভিযুক্ত এরপর পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। শিশুকন্যার পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জীবকে গ্রেফতার করে।
এই নক্কারজনক ঘটনার জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ও শিশুকন্যার পরিবার ওই অভিযুক্তের ফাঁসির আবেদন করে সোচ্চার হন৷ অভিযুক্ত সঞ্জীবের স্ত্রী ও দুই যুবক ছেলে রয়েছে। অভিযোগ, ঘটনার পর নির্যাতিতা শিশুকন্যার বাড়িতে চড়াও হয় সঞ্জীবের দুই ছেলে৷ এমনকি ওই শিশুকন্যার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় । গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে সঞ্জীব দাসের পরিবারকে গ্রামছাড়া দাবি করেন। এমনকি সঞ্জীব দাস আগেও প্রতিবেশীর কয়েকটি নাবালিকার সঙ্গে এমন আচরণ করেছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। হলদিয়া দূর্গাচক থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ” অভিযোগে ভিওিতে অভিয়ুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুকন্যার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷”