মুখ্যমন্ত্রী-সাক্ষাতের ইচ্ছে, মালদহ থেকে সাইকেলে কালীঘাট আসতে চায় খুদে ‘কন্যাশ্রী’

মুখ্যমন্ত্রী-সাক্ষাতের ইচ্ছে, মালদহ থেকে সাইকেলে কালীঘাট আসতে চায় খুদে ‘কন্যাশ্রী’

কলকাতা: নাম সায়ন্তিকা, সে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। কোনও ভাবেই সে কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক বা কর্মী হতে পারে না। রাজনীতি বোঝারও কথা নয় তাঁর। কিন্তু সে এইটুকু বুঝেছে যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তার দিদিরা পেয়েছে, সেও কিছু পাচ্ছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে অল্প বয়েসেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সে। সুদূর মালদহ থেকে সাইকেলে করে কালীঘাটে আসতে চায় সায়ন্তিকা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে কাছ থেকেই ধন্যবাদ জানাতে চায় সে।

আরও পড়ুন- ঘরে ফিরেই গুরুদায়িত্ব! বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সামলাবেন অর্জুন

রাজ্যের মহিলাদের কথা মাথায় রেখেই একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে সবুজ সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রমুখ। জ্ঞান হওয়া থেকেই সায়ন্তিকা বাড়ির সমস্যা দেখে আসছে। অভাবের সংসার কেমন হয় তার বুঝতে বাকি নেই। তবে সে এটাও লক্ষ্য করেছে যে, রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা তার পরিবার পেয়েছে এবং পাচ্ছে। তার বাবা প্রদীপ দাস জানিয়েছেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাহায্যে এগিয়েছে তার বাকি দুই মেয়ের পড়াশুনা। অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধাও পেয়েছেন তারা। এই সব দেখে আট বছরের খুদের মনে হয়েছে সে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি ধন্যবাদ জানাবে। ইতিমধ্যেই নিজের ইচ্ছে জানিয়ে মালদহের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠিয়েছে সায়ন্তিকা। তবে ছাত্রী আদৌ কলকাতার যাওয়ার অনুমতি পাবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

প্রদীপ দাস পেশায় গাড়ির চালক। তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার তাঁর। যা আয় হয় কোনও রকমে তা দিয়েই সংসার চলে তার। টানাটানির সংসারে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা তারা পেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর্থিক পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে আগের থেকে। তাই মমতা সরকারের কাজে খুশিই দাস পরিবার।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *