কলকাতা: গতকাল ব্যাপক হইচই সৃষ্টি হয় ভবানীপুরে। উপনির্বাচনের শেষ দিনে তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষে উত্তাল হল এলাকা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওদিকে, দিলীপের নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখান। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে তাদের জামিন ইতিমধ্যেই মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে ভোট প্রচারে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর
গতকালএর ঘটনার জেরে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল। অন্যদিকে বিজেপি দাবি করেছিল ১৪৪ ধারা বজায় রেখে ভোট হোক। তবে খোদ দিলীপের দাবি ছিল ভোট স্থগিত করা হোক, যার মান্যতা দেয়নি আদালত। যদিও ভবানীপুরে শেষদিনে যে গন্ডগোল হয়েছে, তার ভিডিও ফুটেজও বিজেপি নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। তবে, গতকাল যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল ভবানীপুরে তার দায় বিজেপির ওপরই চাপানো হয়েছে। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে বলেছে, অনুমতি না নিয়ে মিছিল করেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিকে, নিরাপত্তারক্ষীদের পিস্তল বের করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে কোনও পক্ষ কোনও মামলা দায়ের করেনি, তাই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন- ধান ক্ষেতে তরুণীকে ধর্ষণের পর মারধর, শ্রীঘরে অভিযুক্ত
হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে উপনির্বাচন করাতে কোনও বাধা নেই। ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সূচি মেনেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন হবে৷ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ তাদের রায়ে স্পষ্ট জানায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন হতে কোনও বাধা নেই৷ এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে বা নির্বাচন বন্ধ করা হোক, এমন কোনও দাবি জানিয়ে মামলা করা হয়নি৷ গতকালই কমিশনে বিজেপি প্রতিনিধি দল দাবি করেছে, গোটা ভবানীপুর বিধানসভা অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি হোক এমনটাই চান তারা। ১৪৪ ধারাতেই ভোট হোক সেখানে। যতক্ষণ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হয় ততক্ষণ ওই ধারা জারি থাকুক, এমনই দাবি বিজেপির। পাশাপাশি তারা এও দাবি করেছে যে, ভবানীপুরের প্রতিটি বুথেই সিসিটিভ ক্যামেরা লাগাতে হবে এবং বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে।