কলকাতা: নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৬১৮ জনকে আপাতত স্বস্তি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিলের ওপর এখনই স্থগিতাদেশ নয়, জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। স্কুল সার্ভিস কমিশন বুধবার ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। তবে আদালতের নির্দেশর পর নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেই বৃহস্পতিবার জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন- ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, সিলিন্ডার পিছু কত টাকা গুণতে হবে কলকাতায়?
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নবম-দশম শ্রেণির মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে। ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি আদালত। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। ওই নির্দেশ বহাল রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও এই ৬১৮ জন কোনও রকম আশার বার্তা পেলেন না। ডিভিশন বেঞ্চ আবার সিঙ্গেল বেঞ্চেই এই মামলা পাঠিয়ে দেওয়ার ফলে বলাই যায় যে এই অযোগ্য শিক্ষকদের চাকরি যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”তৃণমূলকে হারিয়ে সাগরদিঘিতে জয় কংগ্রেসের! Congress defeats TMC to win Sagardighi bypoll” width=”853″>
গতকাল এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, কমিশন সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কি না। ডিভিশন বেঞ্চের কথায়, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইনে চলার ক্ষমতা আছে। সেক্ষেত্রে কমিশন মনে করলে চাকরি থাকবে না। ওদিকে হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, কমিশনের অফিসের সব ওএমআর সিট নষ্ট করা হয়েছে। কোনও হার্ড কপি নেই। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে সব প্রার্থীর তথ্য সংরক্ষণ করা আছে।