হাওড়া: ওড়িশার ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪ মহিলাসহ হাওড়ার ৬ বাসিন্দার। মৃতরা সকলেই হাওড়ার উদয়নারায়নপুরের বাসিন্দা বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি তাঁরা ওড়িশায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার ভোররাতে তাঁদের বাসটি ওড়িশার ব্রহ্মপুরের কাছে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাওড়ার ওই ছয় বাসিন্দার। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৩০ জন। আপাতত তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে উদয়নারায়নপুর থেকে একদল বাসিন্দা দুর্ঘটনাস্থলেরর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইটবার্তায় লেখেন, ‘ওড়িশার দুর্ঘটনায় হাওড়ার যে ৬ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে তাতে আমি শোকাহত। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। বুধবার ভোররাতে ওড়িশার গ্যাঞ্জাম থেকে অন্ধ্রের ভাইজ্যাক যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজাও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ হারানো এবং আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওড়িশার গ্যাঞ্জাম থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজ্যাক যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাতে ওই যাত্রীবাহী বাসটি রওনা দেয়। বাসে মোট ৭৭ জন যাত্রী ছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসটি ব্রহ্মপুরের কাছে পৌঁছায় এবং তারপর আচমকা ব্রেক ফেল করে। যে সময়ে ঘটনাটি ঘটে সেই সময় বাসটি খাদের একেবারে ধারে ছিল। ফলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে বাসটি খাদে উল্টে পড়ে যায়। ভোররাতে এই দুর্ঘটনা ঘটায় ঘুমের মধ্যে ছিলেন অধিকাংশ যাত্রীই। ফলে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয় ওই ৬ জনের। এছাড়া গুরুতর চোট পেয়েছেন আরও ৩০ জন। এই দুর্ঘটনা যারা মারা গিয়েছেন তাদের নাম হল, সুপ্রিয়া দেঁড়ে (৩৩), সঞ্জিত পাত্র (৩৪), রীমা দেঁড়ে (২২), মৌসুমী দেঁড়ে (৪০), বর্ণালী মান্না (৩৪)। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে একজন রাঁধুনির, তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।