আরামবাগ: বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছেন তাই ন্যাড়া হয়ে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করলেন আরামবাগের ৫০০ জন গেরুয়া কর্মী। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন তারা সকলে। সাংসদ অপরুপা পোদ্দারের হাত ধরে সেই সব বিজেপি কর্মীরা আবার ‘ঘরে’ ফিরলেন। অতএব এই ঘটনা প্রমাণ করল যে আরামবাগে আরও ভাঙন ধরল বিজেপির।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিধায়ক, নেতা এবং কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কেউ বলেছিলেন দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না, কেউ বলেছিলেন দলে গুরুত্ব নেই। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণার দু’মাসের মধ্যেই সবার মোহভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পুরনো দলে ফিরেছেন এবং অনেকজন দলে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন। তার মধ্যে বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের গেরুয়া সদস্যরা। এবার আরামবাগে দলে ভাঙন ধরল বিজেপির। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে ভুল করেছেন তাই জন্য প্রায়শ্চিত্ত বাবদ ন্যাড়া হলেন ৫০০ জন বিজেপি কর্মী। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরুপা পোদ্দারের হাত ধরে পুরনো দলে ফিরলেন তারা। এই বিষয়ে সাংসদ মন্তব্য করেছেন, সবাই এখন নিজের ভুল বুঝতে পারছেন তাই আবার পুরনো দলে ফেরত আসছেন।
আরও পড়ুন- প্রতিশোধমূলক আচরণ, অফিসারদের বিচলিত করার চক্রান্ত, আলাপন ইস্যুতে তোপ সৌগতর
বিধানসভা নির্বাচনের পর সব থেকে বড় দলবদল ঘটিয়েছেন মুকুল রায়। সপুত্র শাসক শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি আবার। এদিকে সোনালী গুহ থেকে শুরু করে দীপেন্দু বিশ্বাস, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আরও একাধিক বিজেপি নেতা ফের একবার পুরনো দলে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন কিন্তু খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট করেছেন, যারা নির্বাচনের ঠিক আগে দলকে ছেড়ে গেছেন তাদের আর নেওয়া হবে না। তবে তৃণমূলের একাংশ দল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের ফেরাতে চাইছেন এমন ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও সব শেষে সবাই পুরনো দলে ফিরতে পারেন কিনা এটা জানতে গেলে অপেক্ষা করতেই হবে।