কলকাতা: এ বছরটা অন্যরকম। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য সবকিছুই যেন থমকে গেছে। ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়ায় অধিকাংশ পরিষেবা চালু হলেও, জীবনযাত্রা যে একেবারেই স্বাভাবিক হয়নি তা বলাই বাহুল্য। তাই এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজাও হবে অন্য ভাবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে এবার অনলাইনেই ভরসা অধিকাংশ পুজো কমিটির। তাই প্রচুর ভিড় এড়াতে কমপক্ষে ৫০টি পুজো কমিটি ডিজিটাল হওয়ার দিকে ঝুঁকেছে। অনলাইনেই হবে এবার প্রতিমা দর্শন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য প্রথম থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, এবছর দুর্গাপুজোয় প্রতিবছরের ন্যায় ভিড় দেখা যাবে না। কার্যত হচ্ছেও তাই। ইতিমধ্যে কলকাতার একাধিক বড় বড় পুজো তাদের মন্ডপ সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি মণ্ডপ গুলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খোলামেলা তৈরি করা হয়েছে। তবে ভিড়ের একটা আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সেই কারণেই অনলাইন হওয়ার পথে শহরের বড় বড় পুজো কমিটি গুলি।
এবছর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ভার্চুয়াল অ্যাপের মাধ্যমে একাধিক পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখার অনুভূতি পাবেন দর্শনার্থীরা। ভিআর বক্সের মাধ্যমে কোনো দর্শনার্থী সরাসরি প্যান্ডেলে উপস্থিত থাকার অনুভূতি লাভ করতে পারবেন। এই ধরনের একাধিক ভার্চুয়াল ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, সুরুচি সংঘ, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বালিগঞ্জ কালচারাল, যোধপুর পার্ক সহ একাধিক দক্ষিণ কলকাতার বড় বড় পূজো তাদের প্রতিদিনের আরতী এবং পূজা দেখাবে অনলাইনে। মূলত ফেসবুক লাইভ এবং ইউটিউবের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এই সমস্ত পুজো মণ্ডপের অনুভূতি পাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দুর্গা পুজো নিয়ে বেশকিছু নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পুজো কমিটিকে জানানো হয়েছে, সব জায়গায় করোনা বিধি বা সর্তকতা মানতে হবে। মণ্ডপে মণ্ডপে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে হবে, মাস্ক ছাড়া কাউকে মন্ডপের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। যদিও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপূজা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে মামলাও দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির তরফেও এবারে সার্বজনীন দুর্গা পুজো বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে।