কলকাতা: দেশে বেড়ে চলা শূন্য বিচারপতি পদে নিয়োগ চেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর সামনেই কেঁদে ফেলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর৷ কিন্তু, তার পরেও পূরণ হয়নি শূন্যপদ৷ সমস্যা বেড়েছে বই কমেনি৷ এই মুহূর্তে বিচারপতির শূন্যপদের কারণে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা কলকাতা হাইকোর্টে৷ কলকাতা হাইকোর্টে অনুমোদিত বিচারপতির পদ ৭২টি হলেও রয়েছেন মোটে ৩১ জন! ৫৬.৯৪ শতাংশ পদ ছিল ফাঁকা৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এবার কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর এল হাইকোর্টে৷
কলকাতা হাইকোর্টে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নতুন ৫ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি৷ নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি কেশং দমা ভুটিয়া৷ তাঁর কার্যকাল হবে ৪ মে ২০২২ থেকে ২৩ জুন ২০২৩ পর্যন্ত৷ বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের কার্যকালের মেয়াদ থাকবে ৪মে ২০২২ থেকে ২৩ জুন ২০২৩ পর্যন্ত৷ বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ হবে ৪মে ২০২২ থেকে ২৩ জুন ২০২৩ পর্যন্ত৷ বিচারপতি সুগত মজুমদারের কার্যকালের মেয়াদ ২ বছর৷ বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের কার্যকালের মেয়াদ থাকবে ২ বছর৷ নতুন বিচারপতি নিয়োগে কিছুটা হলেও জমে থাকা মামলার চাপ কমবে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ৷
এমনিতেই মামলার পাহাড় তৈরি হয়েছে হাইকোর্টে৷ জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রায় ৩ লক্ষ বকেয়া মামলা জমে রয়েছে হাইকোর্টে৷ ১১ কোটি জনসংখ্যার বাংলার পাশাপাশি আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মামলাও রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অধীনে৷ ফলে, চাপ যে যথেষ্ট, তা মনে করেন আইনজীবীদের একাংশ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কলকাতা হাইকোর্টে অনুমোদিত বিচারপতি পদ ৭২ থেকে বাড়ানোর দাবি ইতিমধ্যেই জোড়ালো হয়েছে৷ দাবিও বহু দিনের৷ তার উপর অনুমোদিত পদের অর্ধেকের বেশি ফাঁকা৷ আর এই পরিস্থিতির মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন বিচারপতি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি কিছুটা হলেও ইতিবাচক বলে মনে করছেন আইনজীবী মহলের একাংশ৷