কলকাতা: রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতির আতঙ্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। লকডাউন না করে কিভাবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করা যায় সেই বিষয়ে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা। সোমবার উত্তীর্ণ ভবনে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসলেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা। সেখানেই ঠিক হল করোনা পরিস্থিতি রুখতে রাজ্য সরকারের আগামী পদক্ষেপ কী হবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ফিরহাদ হাকিম। জানালেন, “বেশ অনেকগুলি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমি সবাইকে জানিয়েছি, আমি মেয়র নই। অ্যাডমিনিস্ট্রেটরও নই। কিন্তু পুরমন্ত্রী হিসেবে আমি যা নির্দেশ দিয়েছি তা পালন করো।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতা পোর্ট কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ হবে কলকাতা পোর্টে। সেই অনুযায়ী এবার প্রচারে নামার কথা ফিরহাদ হাকিমের। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, “প্রচারে নামার কথা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে নামতে বলেছেন। দিদি আমার মায়ের মত। ওনার কথা আমি ফেলতে পারি না। তাই এবারে পুরোপুরিভাবে এই যুদ্ধে নেমেছি।” ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ রুখতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার? ফিরহাদ হাকিম জানালেন, “সেফ হোম গঠিত হবে বেশ কয়েকটি। উত্তীর্ণ ভবনে ৫০০ বেডের সেফ হোম তৈরি হবে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে হবে ২০০ বেডের সেফ হোম। উত্তর কলকাতায় একটি ৭০ বেডের সেফ হোম হবে। আনন্দপুরে একটি জায়গায় চেষ্টা করা হচ্ছে, ওখানে ৭০০ বেডের সেফ হোম হবে।”
ফিরহাদ আরও জানালেন, “প্রথমে রোগীকে সেফ হোমে নিয়ে আসা হবে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ভর্তি করা হবে। আবার সুস্থ হলে তাকে সেফ হোমে ট্রান্সফার করা হবে।” স্যানিটাইজেশন ও মাস্ক পড়া নিয়েও কর্মসূচি গ্রহণ করবে কলকাতা পুরসভা। মানুষকে মাস্ক পড়তে বলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পেইনিং করা হবে।