সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে ৮০টি পরিবার

কলকাতা: আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না, ফের শহরে আগুন।গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে গেল দক্ষিণেশ্বরের মন্দির লাগোয়া একটি বস্তি।ভয়াল আগুনের গ্রাসে চলে গেল গোটা বস্তিটাই। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি, তবে ঘুমন্ত হতচকিত ঝুপড়িবাসীদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী নামের এক যুবক, তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা

সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে ৮০টি পরিবার

কলকাতা: আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না, ফের শহরে আগুন।গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে গেল দক্ষিণেশ্বরের মন্দির লাগোয়া একটি বস্তি।ভয়াল আগুনের গ্রাসে চলে গেল গোটা বস্তিটাই। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি, তবে ঘুমন্ত হতচকিত ঝুপড়িবাসীদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী নামের এক যুবক, তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই বস্তিতে মোট ৮০টি ঝুপড়ি ছিল, তারই কোনও একটির হেঁসেলে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারটি গতকাল রাতে ফেটে যায়। গাদাগাদি অবস্থানের কারণে একের পর এক ঝুপড়িতে আগুন লাগে। আগুন অন্যান্য হেঁসেলের সিলিন্ডার ছুঁতেই বিস্ফোরণ শুরু হয়, পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা বস্তি, বাসিন্দারা যখন সারাদিনের কাজের শেষে ঘুমের দেশে যাওয়ার বন্দোবস্ত করছিলেন তখন এমন আকাশভাঙা বিপদে তাঁরা হতচকিত হয়ে যান। তাই ঘরকন্যার কিছুই বাঁচাতে পারেননি। যার যা সম্বল ছিল সবই গিয়েছে আগুনের গ্রাসে, তখন একটাই লক্ষ্য ছিল পালিয়ে অন্তত প্রাণটুকু বাঁচানো যাক তাহলে আবার সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে।

এদিকে আগুনের খবর পেয়ে রাতেই ওই বস্তি এলাকায় যান মদন মিত্র ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, দমকলের আটটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরে খাক গোটা বস্তি। খুব শিগগির সবহারানো মানুষগুলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন মদনবাবু। সেইসঙ্গে আগুন কীভাবে লাগল তাও খতিয়ে দেখা হবে, সকাল হতেই সূর্য়ের আলোতে যখন ভাসছে গোটা শহর তখন ছাইয়ের স্তূপের মাঝে পোড়া গন্ধ কান্নার রেশ তুলেছে বাসিন্দাদের মধ্যে। রবিবারের সকালে সেখানে বিষাদের সুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *