বিয়ের আগে সর্বস্ব খোয়ালেন গৃহশিক্ষক, ‘ফোন পে’ থেকে সাফ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

বিয়ের আগে সর্বস্ব খোয়ালেন গৃহশিক্ষক, ‘ফোন পে’ থেকে সাফ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

8531e8da2d331b28e0bb0b09b3e5e3b6

বারাসাত: সীমান্ত সুরক্ষা বলের নাম ভাঁড়িয়ে অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার শিকার বারাসতের যুবক৷ বিয়ের ১৫ দিন আগে লক্ষাধিক টাকা খুইয়ে প্রতারিত যুবকের মাথায় হাত। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ বা ব্যাংক কেউই তাঁকে সহায়তা করছে না।  প্রতারিত, আশাহত ও অসহায় হয়ে তিনি খুঁজছেন আইনী সাহায্য।

বাড়ির পুরোনো একটা খাট ফোন পের মাধ্যমে বিক্রি করতে গিয়েই প্রতারিত হন বারাসতের এক গৃহশিক্ষক রথিজিত নন্দী। কয়েক মিনিটওমিনিটের ব্যাবধানে তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে খোয়া যায় ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। অন লাইনের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই বারাসত থানার সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রথিজিত। কিন্তু অভিযোগের পরেও কোন সুরাহা হয় নি। কিউআর কোড শেয়ার করে বিয়ের আয়োজন করাই এখন দায় হয়ে উঠেছে তাঁর।

বারাসত পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের  পুর্বাশা এলাকায় থাকেন পেশায় গৃহ শিক্ষক রথিজিত নন্দী। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তার বিয়ে।বিয়ের আগে তাই বাড়ির পুরোনো সেগুন কাঠের খাটটি বিক্রির জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়েলেক্সে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। বিজ্ঞাপনের কিছু সময় পরেই অবাঙালি এক জন রথিজিতকে ফোন করেন।রবি কুমার নামে পরিচয় দেওয়া অবাঙ্গালি ব্যাক্তি রথিজিতকে বলেছিলেন তিনি জন্মু কাশ্মীরে বিএসএফে কর্মরত।অন লাইনেই ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে কথাও হয়েছিল।সেনাবাহিনীতে কর্মরত রবি কুমার ১৫ হাজার টাকা দামের পুরনো খাটটি কিনতে রাজিও হয়েছিলেন।রবি কুমার রথিজিতকে বলেছিলেন মহম্মদ কুরেশি নামে তার এক সহকর্মী ফোন পে এর মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা পেমেন্ট করবেন।

রথিজিত জানান এর কিছুক্ষন পরেই মহম্মদ কুরেশি ফোন করেন। অন লাইনেই তিনি ফোন পে এর কিউ আর কোড দেখান। রথিজিত সেটা অন লাইনেই ফোন পে এর কিউ আর কোড স্ক্যান করেন।এই ভাবে রথিজিত দুই বার কিউ আর কোড স্ক্যান করেন।এর পরেই মিনিট পাচ ছয়ের মধ্যে কয়েক দফায় রথিজিত নন্দীর একাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলেই সে মোবাইলের এস এম এসে জানতে পারেন।প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই রথিজিত সাথে সাথে ব্যাংকে গিয়ে তার একাউন্ট ফ্রিজ করে দেন।

পাশাপাশি বারাসত থানার সাইবার সেলে গিয়ে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।কিন্তু অভিযোগের পর দুই দিন কেটে গেলেও এখনও কোন সুরাহা হয় নি বলেই অভিযোগ রথিজিত নন্দীর।অকূল পাথারে ডুবে থাকা যুবক গ্রাহক হিসেবে কনসিউমার ফোরাম কোর্ট থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত আইনজীবীর পরামর্শ নিতে  বদ্ধপরিকর হলেও নিশ্চিত নন টাকা ফেরত আসবে কিনা । ফেরেব্বাজ দুই ব্যক্তি তো আছেনই ।  তাঁর অভিযোগ গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে  ব্যাংক ও পুলিশ যাঁরা কোনোরকম সহায়তা করছে না ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *