৩ বছর শ্বশুরের পয়সায় খাব! পাত্রী চেয়ে হন্যে যুবকের আর্জি ভাইরাল

৩ বছর শ্বশুরের পয়সায় খাব! পাত্রী চেয়ে হন্যে যুবকের আর্জি ভাইরাল

305aa31c1ac386e8de9c8718093e19aa

কলকাতা: বিয়ের একটা বয়স থাকে। সেই বয়সে বিয়ে না হওয়া দরকার। সাধারণত মন কথা বলেই থাকেন বাড়ির বড়রা। তবে সেটা মেয়েদের জন্য। তাই তো কলেজে  উঠলেই মেয়ের বাড়ি থেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র খোঁজা শুরু হয়ে যায়। আর ছেলেরা? ছেলেদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। তাদেরও তো একটা বয়সের পর বিয়ে করার জন্য মন আনচান করে। বউকে পাশে নিয়ে ঘুরতে ইচ্ছা করে। হোক সে বেকার, তা বলে তো বিয়ের জন্য মন আকুপাকু করবে না, তা তো হতে পারে না।

সম্প্রতি ফেসবুকে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ২৬ বছরের একটা ছেলে নিজের নাম সঞ্জয় দত্ত বলে। তার দাবি বয়স ২৬ বছর হয়ে গিয়েছে। সে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু বাড়ির লোক তার বিয়ে দিতে চা্ইছে না। ‘আমানবিক’ বাড়িক সদস্যদের দাবি, কোনও কাজ না করলে বিয়ে দেওয়া হবে না। বাড়ির লোকের চাওয়া বা না চাওয়ার সঙ্গে বিয়ের ইচ্ছা তো আটকে থাকতে পারে না। তাই সে নিজেই ফেসবুকের দ্বারস্থ হয়েছে। ফেসবুকে সোজা জানিয়ে দিয়েছে, তার  কেমন মেয়ে চাই। আর সঞ্জয় দত্তের দাবি শুনে চোখ কপালে নেটিজেনদের। বর্তমানে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

কি চায় সঞ্জয় তার হবু বউয়ের কাছ থেকে। যদিও তার হবু বউয়ের কাছ থেকে তেমন কিছু চাওয়ার নেই। একটু ভালো মেয়ে আর রংটা একটু ফর্সার দিকে হলে ভালো হয়। তবে রংটা শ্যামলার দিকে হলেও অসুবিধার কিছু নেই। তার প্রধান দাবি শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে। বিয়ের পর তিন বছর সে শ্বশুরর বাড়িতে থাকতে চায়। কারণ বিয়ের পর অনেক খরচ। নিজের খরচের সঙ্গে বউয়ের খরচ যুক্ত হবে। তিন বছরের মধ্যে সে কিছু একটা করে দেবে। তাছাড়া তাকে বিয়েতে আলমারি, খাট, আলনা্, ড্রেসিংটেবিল দিতে হবে।  নগদ ৫০ হাজার টাকা দিলে ভালো হয়। কারন তার ব্যাঙ্কে মাত্র ১০ হাজার টাকা আছে। সেটাতে হাত দেওয়া যাবে না।

তাই বউভাতের জন্য খরচ লাগবে। নিজের বলতে একটা ঘর আর বারান্দা আছে।  বিয়ের পর বাবা-মা বারান্দায় শোবে। ঘর টালির ছাদ। মেঝে ইটের। তবে চিন্তার কিছু নেই, বিয়ের পর সে কাজ করে ঘর বাড়াবে শুধু নয়, দোতলাও করবে। তবে সবার আগে সে বিয়ে করতে চায়। তাই ফেসবুকের দ্বারস্থ হয়েছে। সব কিছু জেনে কোনও মেয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী হলে, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায়। বাবা-মা বিয়ে দিতে আগ্রহী হলে কোনও কথাই ছিল না। সঞ্জয় দত্তের ভরসা এখন ফেসবুক। দেখা যাক ফেসবুক থেকে কোনও মান্যতা পায় কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *