কলকাতা: শনিবার রাজ্যে হয়ে গিয়েছে এক দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই একদিনে গোটা রাজ্যজুড়ে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে সব জায়গায়। যদিও শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গার অশান্তি ছাড়া বঙ্গে উৎসবের মেজাজেই ভোট হয়েছে। কিন্তু আদতে কি তাই? কারণ এই ভোটের আবহে যে মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসছে তা অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শনিবার শুধু ভোটের দিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে গতকালের হিংসায় গভীরভাবে আহত হওয়া কয়েক জন রবিবার প্রাণ হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই মৃত্যুর সংখ্যা যে বাড়তেই পারে তারও আশঙ্কা আছে। এক কথায় বলা যায়, মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোট পর্যন্ত মৃত্যুলীলা দেখেছে বাংলার মানুষ। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, সংগঠিত লুটের ভোট হয়েছে এটি। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, যে অশান্তির কথা বলা হচ্ছে, তা সামগ্রিকতার নিরিখে এক শতাংশেরও কম জায়গার ছবি৷
২০১৮ সালের পর এই বছরও বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন দিনভর হিংসা, খুনোখুনি, ব্যালট ছিনতাই, দেদার ছাপ্পার রেশ জিইয়ে রেখেছিল। বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে যে তারা গণনার দিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। ওদিকে এও জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে বিরোধী শিবির। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত উত্তাপ এখনও বহাল বঙ্গে, আগামী কয়েক দিনও থাকবে।