কলকাতা: আসছে পুজো৷ চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ দেবী দুর্গা মর্তে আগমন ঘটতে চললেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা৷ উল্টে উৎসবে বেহিসেবি চলাচল সংক্রমণ আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্ক করছেন চিকিৎসকদের একাংশ৷ উৎসব নিয়ে যখন চিন্তা বাড়ছে, ঠিক তখন কাতারে কাতারে প্রবাসীরা ফিরছেন বাংলায়৷ আর তাতেই নতুন করে সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
পুজোর মুখে বিমান যাত্রীসংখ্যায় রেকর্ড গড়েছে কলকাতা বিমানবন্দর৷ মাত্র ১ দিনে বিমান যাত্রীসংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩৩ হাজার৷ লকডাউন ও পরবর্তী আনলক পর্বে যা সর্বাধিক বলে মনে করছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ৷
লকডাউন পরবর্তী সময় থেকে বন্ধ যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা৷ লকডাউনের পর ২৮ মে থেকে ফের নতুন করে বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছে৷ লকডাউনের পর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় মোটা টাকা খরচ করে বিমান যাত্রায় বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা৷ আর তাতেই লাফিয়ে বেড়েছে যাত্রীসংখ্যা৷ কলকাতা বিমানবন্দরে দৈনিক গড় যাত্রীসংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজারের কাছাকাছি৷ সোমবার তা এক লাফে বেড়েছে ৩৩ হাজার৷ ১৪ হাজার ৬৮৮ জন যাত্রী নিয়ে ১২৯টি অন্তর্দেশীয় বিমান কলকাতায় নেমেছে৷ ১৯,১১০ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উড়ে গিয়েছে ১৩৩টি বিমান৷
বন্দে ভারত মিশন ও এয়ার ট্রান্সপোর্ট বাবল ফ্লাইটের মাধ্যমেও যাত্রীরা বিদেশ থেকে আসা-যাওয়া করছেন৷ লকডাউন পরবর্তী সময়ে কলকাতা বিমানবন্দরে যত যাত্রী বিমান সফর করেছেন, তার মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ প্রথমবার বিমান সফর করেছেন৷ তবে, যাঁরা বিদেশ কিংবা ভিন্ রাজ্য থেকে বাংলায় ফিরছেন, তাঁদের নজরদারিতে আদৌও কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে? প্রবাসীদের থেকে ফের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে না তো? উদ্বেগে সাধারণ জনতা৷