কলকাতা: রাজ্যে গোরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই তৎপরতা নিয়ে জারি তরজা। কিছুদিন আগেই রাজ্যের আইপিএস অফিসার সহ হেভিওয়েট পুলিশ কর্মীদের একাংশকে গোরুপাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে শমন পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার তাঁদের কোপে পড়লেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের আধিকারিকরাও।
সীমান্তবর্তী এলাকায় গোরু পাচার চক্রের বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তাঁদের তদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে সীমান্তরক্ষা বাহিনী তথা বিএসএফ (BSF) কর্মীদের নামও। তার জেরেই এবার বরখাস্ত করা হল বিএসএফ-এর ৩ অফিসারকে৷ বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, গোরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠায় একজন ইন্সপেক্টর এবং দুই সিনিয়র অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জন অফিসারকে বদলির নোটিশ ধরানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ কুমার সিং জানান, গোরু পাচার চক্র নিয়ে সিবিআই ছাড়াও বিভাগীয় তদন্ত চালাচ্ছেন তাঁরা। এই সূত্রেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একজন ইন্সপেক্টর সহ তিনজন বরখাস্ত হয়েছেন। এছাড়া, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে বিএসএফের তরফে।
পঙ্কজ কুমার সিং বলেছেন, ‘‘গাফিলতি ছাড়া গোরু পাচার কাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটা সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই ছিল গাফিলতি।’’ সিবিআই ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে যে মামলা করেছে, তাতে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেও ডেকে পাঠানো হয়েছে কয়েকজনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তাঁরা জেনে শুনে ঘুষ নিয়ে পাচার কাণ্ড ঘটতে সহায়তা করেছেন। উল্লেখ্য, গোরু পাচার চক্রের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এদিন পঙ্কজ কুমার সিং জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পশু পাচার বর্তমানে অনেকটাই কমে গেছে। গতবছর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৫% এবং গত ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৫%। তবে এই ঘটনা সম্পূর্ণ নির্মূল করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।