কলকাতা: একের পর এক হাসপাতালে সঙ্কটজনক ছেলেকে নিয়ে ঘুরেছিলেন৷ কিন্তু কোনও হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি৷ কলকাতা মেডিক্যাল পুলিশের চাপে বছর আঠারোর তরুণকে ভর্তি নেয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু তরুণের৷ গোটা ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে উঠেছিল নিন্দার ঝড়৷ ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফের আরও একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ তিনটে সরকারি হাসপাতালে ঘোরার পরে মেলেনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বেড৷ স্ট্রেচারে উপর মৃত্যু হল ২৬ বছরের যুবকের৷
১৪ দিন আগে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যুবককে৷ তাঁর টাইফয়েড ধরা পরে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরের বাসিন্দা অশোক রুইদাস৷ টাইফয়েডের সঙ্গে তাঁর শ্বাসকষ্ট ছিল৷ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি৷ রেফার করা হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে৷ সেখানেও মেলেনি ভর্তি সুযোগ৷ সেখানে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়৷ এরপর একটা অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়৷
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নিতে অস্বীকার করা হয়৷ মৃতের মা জানান, বার বার শুধু একটু অক্সিজেন দিতে বলছিলাম৷ ছেলেটা শ্বাস নিতে পারছিল না৷ কিন্তু কেউ অক্সিজেন দিল না৷ স্ট্রেচারেই মারা গেল আমার ভালো ছেলেটা৷ পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের থেকে অশোককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ ৩টি সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
তবে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কোনওভাবেই রোগী রেফার করা যাবে না। প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়ে গেল। রেফারের চক্করে পরপর দুই দিন দুটো মৃত্যুর সাক্ষী থাকল কলকাতা। চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া দুই তরুণের মায়ের কান্না করোনা আবহে কলকাতার বাতাসকে আরও ভারি করে তুলল৷
অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মিলেনি গাড়ি৷ দীর্ঘক্ষণ পর ভ্যান রিকশা করে রোগিণীকে হাসপাতালে আনা গেলেও হয়নি শেষ রক্ষা৷ কলকাতা মেডিক্যালে আনার পরেও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ৷ কলকাতা মেডিক্যালে আনার পরও দীর্ঘ সময় ধরে রোগিণীরকে ফেলে রাখার অভিযোগ৷ চিকিৎসা না পেয়ে রোগিণীর মৃত্যু অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্য৷ প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে কর্তৃপক্ষ৷