কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে এবার রাজ্যের ২৩টি বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা করল স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা যাচ্ছে ওই ২৩টি হাসপাতালে জরিমানার মোট অঙ্ক অন্ততপক্ষে ৫ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে একই রোগীর নামে-বেনামে একাধিক প্যাকেজ, বাড়তি ওষুধের ভুয়া বিল, অপ্রয়োজনীয়’ পরীক্ষার মতো একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জানা যাচ্ছে দুই ২৪ পরগনা, মালদা, নদীয়া, হুগলির মত মোট ১০টি জেলার ২৩টি নার্সিংহোম ও বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্য সরকার বেশকিছু কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড যদি কোনও হাসপাতাল গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছে। এমতাবস্থায় সামনে এল বেসরকারি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে এই দুর্নীতির খবর।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্ত নিয়োগী বুধবার বলেন, ‘আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ওপর গোয়েন্দাগিরি করতে চাই না। কিন্তু দুর্নীতির কারণে মানুষ দুরবস্থায় পড়লে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে।’ এর সঙ্গেই তিনি জানান, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, মালদা, বীরভূম, নদীয়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো দশটি জেলার ২৩টি নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে সম্পর্কেও বার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘আপাতত জরিমানার কথা ঘোষণা করা হলেও প্রয়োজনে ওই নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। এছাড়া ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জরিমানার টাকা না মেটানো পর্যন্ত ঐ সমস্ত হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কোনও রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।