নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বসিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে গম বোঝাই করা ১৭৫টি ট্রাক আটক করে রেখেছে শুল্ক দফতর। মোট ৫০০ টন গমের বাজারমূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা। আটক করা মাল দুমাসের মধ্যে বিলি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
অন্যদিকে, রেশনের গম বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বনগাঁ কালুপুরে যশোর রোড অবরোধ বিজেপির৷ বনগাঁ কলপুর রাধাকৃষ্ণ মিলের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীরা৷ বিজেপির দাবি, ভারত সরকারের দেওয়া রেশনের গম বাংলাদেশে পাচার হচ্ছিল৷ মিলের গোডাউনে কত আটা ও গম মজুদ আছে তার তথ্য চেয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি৷
গত ২০ অক্টোবর বসিরহাট ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে ১৭৫টি ট্রাক আটক করে শুল্ক দফতর। ৫০০ টন মাল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে রফতনি করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। বস্তার গায়ে রয়েছে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার লোগো, আবার গমের বস্তাগুলিও পুরানো। সীমান্তে ট্রাকগুলি আটক করার পরেই বসিরহাট থানায় খবর দেয় শুল্ক দফতর। গাড়িভর্তি গম বাজেয়াপ্ত করা হয়। চালকদের কাছে কোনও বৈধ নথি না থাকায় তাঁদের বৈধ নথি নিয়ে আসতে বলা হয়। গম রফতনি করা ব্যবসায়ীদের অনেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা, অশোকনগর, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। তাঁদের উপযুক্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে৷
ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের আমদানি রফতানি সংস্থার সম্পাদক জয়দেব সরকার বলেন, ‘আমরা যে সমস্ত মাল কিনেছি তার রসিদ এবং অন্যান্য বৈধ কাজগপত্র আছে। সেগুলি শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷’ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘আটক করা গম এ রাজ্যের গণবণ্টনের মাল নয়। পশ্চিমবঙ্গে গম চাষ করা হয় না। পঞ্জাব, হরিয়ানায় থেকে সেগুলি নিয়ে এসে এ রাজ্যের সীমান্ত নিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল৷’ পুরো বিষয়টিকে দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ৫০০ টন গম তুলে দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকের হাতে। তাঁর মাধ্যমে গমগুলি বিলি করার ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে, ২ মাসের মধ্যে বিলি না করা হলে সেগুলি নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে তার আগেই যাতে বিলি করা যায়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফে। এত বিপুল পরিমাণে গম কোথা থেকে এল, বা কাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাঠানো হচ্ছিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানা।