চাকদহ: একুশের নির্বাচনের আগে এখন বাংলায় জমে উঠেছে দলবদলের খেলা৷ শাসকদলকে ভাঙিয়ে আনতে পারলেই বাজিমাত৷ সেইমতো বৃহস্পতিবার প্রায় ১৪০০ কর্মীর তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেওয়ার কথা ছিল গেরুয়া শিবিরে৷ তবে আসল সময় ভেস্তে গেল তা৷ দেখা গেল বিজেপিতে যোগদান করতে এলেন না কেউই৷ যা দেখে রীতিমত রেগে গেলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়৷ বৃহস্পতিবার নদিয়া যান তিনি৷ সেখানে গিয়ে এই ঘটনার স্বাক্ষী হন মুকুল৷
যোগদান পর্ব ভেসতে যাওয়ায় এদিন মঞ্চ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুকুল রায়৷ গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকেই৷ বলেন, ‘ওদের কথায় বিশ্বাস করে আমি এখানে এসেছিলাম। কেউ বিশ্বাসের অমর্যাদা করলে আমি ভালোভাবে নিই না। যোগদান হচ্ছে না জানতে পারলে আমি এই সভায় আসতাম না।’ জানা গিয়েছে, চাকদহের শিমুরালি মনসাপোতার মাঠে বিজেপি’র নদিয়া দক্ষিণ জেলা তফসিলি মোর্চার সভায় অনেকে তৃণমূল থেকে যোগদান করবেন বলে জানানো হয়েছিল। যদিও কেউই আসেননি।
এই ঘটনায় তফসিলি মোর্চার জেলা সভাপতি তারক সরকারের দাবি, ‘পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য–সহ বিভিন্ন স্তরের ১,৪০০ তৃণমূল কর্মীর আমাদের দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমুল থেকে আমাদের দলে আসা স্থানীয় বিজেপি নেতারা এই ব্যাপারে আপত্তি জানানোয় এদিনের মতো যোগদান পর্ব বাতিল করা হয়েছে।’এদিন মুকুল ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দাবি করেন, ‘আমি রাজনীতিটা খুব খারাপ বুঝি না। গত লোকসভার নির্বাচনের সময়ে বলেছিলাম, আমরা ২০–২২ টি আসন পাব। ১৮ টি পেয়েছি। আমি বলে যাচ্ছি, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ১০০ আসন পাবে না। যতই ওরা সংখ্যালঘু–সংখ্যাগুরুর হিসাব করুক।’ এখন মুকুলের এই হিসেব সত্যিই মিলবে কিনা তা সময়ের অপেক্ষা৷