কলকাতা: ব্রিগেড জনসভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মহাজোটের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘সবাই আসবে৷ এই মঞ্চ থেকে বিজেপি বিরোধী ঐক্যমঞ্চ গড়ে তোলা হবে৷ সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব মতামত জানাবে৷ তার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ কারণ, আমরা কারোর উপর কোনও কিছু চাপিয়ে দিতে পারি না৷ তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷’’ এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১২৫টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি৷ দেশের মানুষ বিজেপিকে ঠিক জবাব দিয়ে দেবে৷ কারণ, এবার আঞ্চলিক দলগুলিই নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে৷’’
আগামী শনিবার ব্রিগেডের সমাবেশ৷ সভাকে কেন্দ্র করে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী ও সমর্থকরা আসা শুরু করেছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় ৩ হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক শিয়ালদহ স্টেশনে পা রেখেছেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুলিশের তরফে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহর জুড়ে থাকছে ৮৯টি সহায়তা কেন্দ্র। শিয়ালদহ, হাওড়া, ধর্মতলা সহ বিভিন্ন স্টেশনে থাকছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। পাশাপাশি থাকছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। শনিবার এজেসি বোস রোড, হসপিটাল রোড, ক্যাথিড্রাল রোড সহ বেশ কিছু রাস্তাকে ভোর ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নো পার্কিং জোন করা হবে। মঞ্চের কাছে যাওয়ার জন্য থাকছে বিভিন্ন রঙের কার্ড। বৃহস্পতিবার থেকেই বিধায়কদের সেই কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অপরদিকে, কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন নগরপাল রাজীব কুমার স্বয়ং। এছাড়াও ১৮জন ডেপুটি কমিশনার ও ২৯ জন অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন। এছাড়াও ব্রিগেডকে কেন্দ্র করে ৮ হাজার পুলিশকর্মী ও ৩ হাজার তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থাকছেন। ভিআইপি গেটে তদারকির জন্য এদের পাশাপাশি থাকবেন দু’জন মন্ত্রী। ব্রিগেডকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এক একটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদ মর্যাদার অফিসারদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ ব্রিগেডের প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সহ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা।