দেউলিয়া বাংলাদেশ? ইউনূসকে ভরসা করাই ভুল! | Bangladesh Economic Future

সর্বনাশ ডেকে আনছে বাংলাদেশ (Bangladesh Economic Future 2024) দিল্লি: ভারত বিরোধীতা করতে গিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে বাংলাদেশ? পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার অবস্থা বাংলাদেশের?…

Bangladesh Economic Future 2024

সর্বনাশ ডেকে আনছে বাংলাদেশ (Bangladesh Economic Future 2024)

দিল্লি: ভারত বিরোধীতা করতে গিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে বাংলাদেশ? পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার অবস্থা বাংলাদেশের? ঋণে জর্জরিত, ঢাকার ভবিষ্যৎ সত্যিই কী অন্ধকার? টেনশন দিল্লির! এইভাবে ফেইলিওর ইউনূস? তাহলে ভরসা করে ঠকল বাংলাদেশ?

নয়াদিল্লি মনে করছে, বড় অঙ্কের বৈদেশিক ঋণ শোধের বিষয়টাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সবচেয়ে কঠিন সমস্যা। আর, আরও পরিস্থিতি সঙ্গিন হয়েছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় তলানিতে ঠেকার কারণে। গত ছ’বছরের মধ্যে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় এখন সর্বনিম্ন। মাত্র ১৬০০ কোটি ডলার। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি খারাপ হতে পারে। আর এটা যদি ঘটে, তাহলে তার পরিণতি মোটেও ভালো হবে না। আর ঠিক এখানেই দুশ্চিন্তা ভারতের।

Modi

ভাঁড়ার এর অবস্থা খুব খারাপ (Challenges and Opportunities)

বাংলাদেশের স্বার্থেই ভারতে ইলিশ রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ বাংলাদেশ বলছে তাদের ভাঁড়ার এর অবস্থা খুব খারাপ। তাই বারটি ডলারের আশায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, গণঅভ্যুত্থানের সমর্থকদের দাবি মেনে বাংলাদেশ ইলিশ রফতানি বন্ধ করলে? না তাতে ভারতের হয়তো কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু বাংলাদেশের এই ভারত-বিরোধী সেন্টিমেন্টের প্রভাব নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে পড়লে, তাতে আখেড়ে ইউনূস সরকারেরই ক্ষতি বলে মনে করছে সাউথ ব্লক।

দেখুন, প্রিয় দর্শক। ভারত বাংলাদেশ পরম বন্ধু। হাসিনা সরকার থাকাকালীন, দুই দেশের গলায় গলায় ভাব গোটা বিশ্বের কাছে নতুন কিছু ছিল না। তারপর ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে, মোহাম্মদ ইউনুস তার মাথায় বসেছেন। চেনা সমীকরণ বদলেছে।

hasina cry
হাসিনা

বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা তীব্র হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া পাশের দেশটাকে এখনো বন্ধুই ভাবে ভারত। আর তাই, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যত খারাপ হচ্ছে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে নয়া দিল্লির। এদিকে ঝোঁপ বুঝে কোপ মারছে রাশিয়া। ঠিক এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া তাদের বকেয়া পরিশোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে ঢাকাকে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দেওয়া ঋণের বকেয়া ও চলতি সুদ বাবদ ৬৩ কোটি ডলার ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শোধ করার জন্য ঢাকাকে চিঠি দিয়েছিল মস্কো। সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ায় সুদ-সহ বকেয়া আরও বেড়েছে। ত্রিপুরা থেকেও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কেনে। সেখানেও বকেয়া বাড়ছে।এবার কি করবে ইউনূস সরকার? সম্পূর্ণ দিশেহারা অবস্থা।

Future of Bangladesh

এতো ধার (Future Prospects)

এতগুলো দেশের কাছে এত এত ধার। সর্বশেষ পাওয়া সরকারি তথ্য বলছে জাপানের কাছে ৯২১ কোটি, রাশিয়ার কাছে ৫০৯ কোটি, চিনের কাছে ৪৭৬ কোটি এবং ভারতের কাছে ১০২ কোটি ডলারের ঋণ বাংলাদেশের। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫৬৩ কোটি ডলার ঋণ করেছে। আর হাসিনা জমানার এই ঋণের কিস্তি শোধ করতে হবে বর্তমান সরকারকে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, আইন-শৃঙ্খলা ঠিক জায়গায় আনা বা বাণিজ্যিক কার্যকলাপ পুনরুদ্ধার করা। মানে যা যা করার প্রয়োজন ছিল তার কোনটাই কিন্তু করতে দেখা যায়নি ইউনুস সরকারকে।

বরং ইউনুস একের পর এক হাসিনা বিরোধী, আওয়ামী লীগ বিরোধী পদক্ষেপ নিতে ব্যস্ত। বিশেষজ্ঞরা তো বলছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি নিয়ে যে নির্ভরযোগ্য পাকাপোক্ত নীতি নেওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তা নেওয়া তো দূরস্ত, সেই ব্যাপারে যথেষ্ট উদাসীন ইউনুস সরকার। এমনকি স্পষ্ট বিদেশ নীতি তৈরি করার দরকার ছিল। কারণ অনেক বিদেশী রাষ্ট্রের বাণিজ্যিক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। কিন্তু এর একটাও করেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ফলে ঋণ মেটাতে আপাতত হাঁসফাঁস অবস্থা ঢাকার।

ইউনূস
মহম্মদ ইউনুস

তবে এই পরিস্থিতি তো একদিনে তৈরি হয়নি। বলা হচ্ছে অর্থনীতির আকার অনুসারে পর্যাপ্ত রাজস্ব আহরণে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। বিপুল অর্থপাচারও হয়েছে বিদেশে। সংস্কারের কথা বললেও চেনা পথ থেকে বেরিয়ে আসার সাহসী অর্থনৈতিক পদক্ষেপ এখনও নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। তাই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশার আলো দেখার বদলে বিপর্যয়ের আশঙ্কাই করছেন। আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি বিপদ বাড়াচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভরসা রেখেছে। তাহলে কি সেটাও একটা বড় ভুল? আদেও কি আস্থা ভরসা রাখতে পারবে ইউনুস সরকার? বেহাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ ক্ষোভ হয়ে ফেটে পড়বে না তো অন্তর্বর্তী সরকারের উপর? উত্তর দেবে সময়।

আরও পড়ুন..

এবার শুকিয়ে কাঠ হবে পাকিস্তান? সিন্ধু নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ভারতের

ফের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনা?

World : Bangladesh Economic Future 2024 – Discover Bangladesh’s economic future, growth prospects, challenges and opportunities. Learn about the country’s emerging industries, investment opportunities, and GDP growth projections. (Bangladesh Economic Future)