হিজবুল্লাহ কারা (Israel Hezbollah War)
দিল্লি: হিজবুল্লাহ কারা? এদের গায়ে কী লোহার বর্ম? হিজবুল্লাহর লিডার নাসরাল্লাহ কেন অন্তরালে থাকেন? লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর পাওয়ার কতটা? ইসরাইলের সঙ্গে এবার হিজবুল্লার ডিরেক্ট যুদ্ধ? বেসিক্যালি হিজবুল্লাহ তৈরীর মাস্টারমাইন্ড ইরান। ইসরাইলের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে আশির দশকের গোড়ার দিকে ইরান হিজবুল্লা গড়ে তোলে। হিজবুল্লাহ রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি শিয়া মুসলিম সংগঠন যাদের লেবাননের রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব আছে। এরাই দেশটার সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী ও।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হিজবুল্লাহর পাওয়ার আর যোদ্ধাদের চ্যালেঞ্জ করলে ইসরাইলকে কিন্তু ভুগতে হবে। কারণ, সময়ের সাথে সাথে, হিজবুল্লাহ যেমন তাদের যোদ্ধা সংখ্যা বাড়িয়েছে তেমনি তুখোড় সব উন্নত অস্ত্রের ভান্ডার গড়ে তুলেছে। বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হিজবুল্লাহকে ঢেলে সাজাতে টাকা ঢালছে ইরান। হিজবুল্লাহর পাওয়ার মারাত্মক। এরা রীতিমতো আগুন নিয়ে খেলে। এক লক্ষ ট্রেইন্ড যোদ্ধা, শক্তিশালী অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্রের বিরাট ভান্ডার, সাংঘাতিক মিসাইল সিস্টেম, এগুলো হিজবুল্লাহর অ্যাসেট। গাজার হামাসের তুলনায় অনেক বেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে হিজবুল্লাহর কাছে। ইসরাইল এদের পরম শত্রু। যে ইসরাইল, পশ্চিমাদেশ, আরব লীগ হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে দেগে দিয়েছে। কিন্তু এটাতো ফ্যাক্ট, হিজবুল্লার সঙ্গে ইসরাইলের পেরে ওঠা খুব একটা সহজ কথা নয়। (Israel Hezbollah War)
লোক চক্ষুর অন্তরালে (History of Israel Hezbollah Conflict)
ইসরাইলের জন্য যেমন বড় সাপোর্ট সিস্টেম নেতানিয়াহু। তেমন, হাসান নাসারাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লার মাথায় বসে। ইরানের সঙ্গে নাসারাল্লাহর গভীর আঁতাত। তবে বহু বছর হয়ে গেল তিনি লোক চক্ষুর অন্তরালে থাকেন। কারণ, একটাই।ইসরায়েল তাকে যখন তখন হত্যা করতে পারে, এই ভয়ে নাসরাল্লাহ কয়েক বছর ধরেই আর জনসমক্ষে আসেন নি। কিন্তু, তারপরেও ইসরাইল ক্ষান্ত হয়নি। হামাসের সঙ্গে মিলে, হিজবুল্লা যে সংঘর্ষের শুরু করেছে, তার শেষ দেখতে চায় ইসরাইল।
প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে (Reasons Behind the War)
আর ঠিক এই কারণেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ ইসরাইল এর সংঘর্ষ একটা সময় পরিস্থিতি আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। অলরেডি হিজবুল্লার বুকে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে। মনে করিয়ে দিই, হিজবুল্লাহর সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যা করা হয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহ নিহত হয়েছেন। আর ঠিক তখন থেকেই, হিজবুল্লাহ ও ইরান অপেক্ষা করছে। টার্গেট একটাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ। তারপরেও এখনও পর্যন্ত দু পক্ষই ফুলফিল যুদ্ধে না জড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এরই মধ্যে ইসরাইল যেভাবে লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ঘটালো কিংবা যে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে আর তাতে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেটার প্রতিশোধ হিজবুল্লা যে কিভাবে তুলবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। আর ঠিক এই পয়েন্ট থেকেই দু পক্ষের সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা আরও তীব্র হচ্ছে।
যথেষ্ট রিস্কের (Impact)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতি, বন্দী মুক্তি ডিলের মধ্য দিয়ে উত্তেজনা কমানোর আশা করছে। ইসরায়েল, হামাসকে চাপ দিচ্ছে। অথচ নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহকে শান্ত থাকার কোনো সুযোগই ছাড়ছেনা। যা শুধু দুশ্চিন্তার নয়, উদ্বেগের নয়, যথেষ্ট রিস্কের ও বটে।
আরও পড়ুন..
কিভাবে একসাথে এতগুলো ডিভাইসে বিস্ফোরণ? লেবাননে পেজার হামলার পরতে পরতে রহস্য!
World : Israel Hezbollah War 2024 – Get the latest updates on the Israel Hezbollah War. Know the reasons, impact, and future plans. Read 10 key facts about the conflict between Israel and Hezbollah. (Israel Hezbollah War 2024)