নয়াদিল্লি: আর মাত্র কয়েকটা দিন। দেশের চূড়ান্ত আর্থিক দৈন্যতার বোঝা কাঁধে নিয়ে সাধারণ বাজেট পেশ হচ্ছে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি। সেদিক থেকে অর্থনৈতিক দুরবস্থায় ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে জনমুখী বাজেট এখন একান্তই কাম্য। সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পরামর্শদাতারাও নিজেদের একের পর এক মুল্যবান পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। তবে দেশের অর্থনৈতিক ঘাটতি কমাতে এবারের বাজেটে আন্তর্জাতিক রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতির উপরেই জোর দিতে চাইছে অর্থমন্ত্রক। তাই বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রীয় বানিজ্য মন্ত্রকের প্রস্তাব, শুল্কমুক্ত দোকান থেকে অ্যালকোহল বিক্রির ওপর সীমাবদ্ধতা।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে পর্যটক পিছু এক বোতলের বেশি শুল্কমুক্ত অ্যালকোহল বরাদ্দ হবেনা। পিটিআই সূত্রে খবর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে দেওয়া সুপারিশের মধ্যে অপরিহার্য পণ্যের আমদানি হ্রাস করার পদক্ষেপের অংশ হিসাবে দোকানগুলিতে এক বোতল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত অ্যালকোহল বিক্রি সীমাবদ্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি শুল্কমুক্ত দোকানগুলি থেকে সিগারেটের কার্টন কেনাও নিষিদ্ধ করা উচিত বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে, দেশের আন্তর্জাতিক পর্যটকদের এই দোকানগুলি থেকে শুল্ক ছাড়াই দুই লিটার অ্যালকোহল এবং সিগারেটের একটি কার্টন কেনার অনুমতি রয়েছে। আইএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশগুলি গত কয়েক বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতিতেও রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতির প্রবণতা রয়েছে।
আইএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশগুলি গত কয়েক বছর ধরে নিয়ন্ত্রিত বানিজ্যনীতি রক্ষা করছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতিতেও রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতির প্রবণতা রয়েছে। যেহেতু সরকার বাণিজ্যিক ঘাটতি রোধে দেশে অপরিহার্য পণ্যের আমদানি কমানোর বিভিন্ন উপায়ের দিকে নজর দিচ্ছে। সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রকের এই সুপারিশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অর্থমন্ত্রক। এখন দেশের শুল্কমুক্ত দোকানগুলি থেকে বিদেশি পর্যটকদের কোনও আমদানি শুল্ক না দিয়ে সাধারণত প্রায় ৫০,০০০ টাকার পণ্য কেনার অনুমতি রয়েছে।
সূত্র অনুসারে, 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রচার এবং উৎপাদন বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে বিদেশি কাগজ জুতো, রাবারের আইটেম এবং খেলনার মতো কয়েকটি পণ্যের শুল্ক বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রক। এছাড়াও ফার্নিচার, রাসায়নিক, রাবার, রাসায়নিক এবং কোটেড পেপার সহ বিভিন্ন খাতে ৩০০ টিরও বেশি পণ্যের উপর মৌলিক শুল্ক বা আমদানি শুল্কের যৌক্তিকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।