নয়াদিল্লি: জনসাধারণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দেশের সমস্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই ভঙ্গুর দশা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এবারে তার প্রভাব পড়ল রেলের উপার্জনেও। রেল মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে যাত্রীভাড়াবাবদ ভারতীয় রেলওয়ের উপার্জন কমেছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। তুলনায় মালগাড়ি (রেলওয়ে রাজস্ব) থেকে উপার্জন বেড়েছে ২৮০০ কোটি টাকা।
মধ্য প্রদেশের নিমুচ জেলার কর্মী চন্দ্রশেখর গৌড়ের তথ্য জানার আইন হিসেবে রেল মন্ত্রকের কাছ থেকে রেলওয়ের উপার্জনের তথ্য চেয়েছিলেন। রেলমন্ত্রকের পেশ করা জবাবে বলা হয়েছে, যাত্রীভাড়া থেকে উপার্জনের ক্ষেত্রে এপ্রিল-জুন শেষ ত্রৈমাসিকে রেলর আয় ছিল ১৩,৯৯৯.৯২ কোটি টাকা। এরপর, জুলাই-সেপ্টেম্বর শেষ ত্রৈমাসিকে তা ১৩,২৪৩.৮১ কোটি টাকা কমে যায়। এর পরের ত্রৈমাসিক অর্থাৎ, অক্টোবর-ডিসেম্বরের শেষে তার আরো কমে দাঁড়ায় ১২,৮৪৪.৩৭ কোটি।
অন্যদিকে পণ্য বহনের ক্ষেত্রে উপার্জনের বিষয়টা একেবারেই উল্টো। এক্ষেত্রে প্রথম ত্রৈমাসিকে রেলের উপার্জন হয়েছিল ২৯,০৬৬.৯২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা কমে হয় ২৫.১৬৩.১৩ কোটি। কিন্তু তৃতীয় ত্রৈমাসিকে উপার্জন অনেকটাই বেড়ে, দাঁড়িয়েছে ২৮,০৩২.৮০ কোটি টাকা।
রেলের মাল পরিবহণে আর্থিক ঘাটতি কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল রেলমন্ত্রক। বিজি সেশন (সাধারণত জানুয়ারি থেকে মার্চ এবং এপ্রিল পর্যন্ত সময় যখন ট্যাক্স লেনদেন হয়)এ সারচার্জ তুলে দেওয়া হয়, এসি চেয়ার কার ও এক্সিকিউটিভ ক্লাস থাকা ট্রেনে ২৫ শতাংশ ছাড়ের একটি প্রকল্প শুরু হয়। ৩০ বছরের পুরনো ডিজেল ইঞ্জিনগুলো সরিয়ে ফেলে কমানো হচ্ছে জ্বালানির খরচ। রেলের অধীনস্থ ভূসম্পত্তি আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যবহারও শুরু হয়েছে।